খুলনায় চাঞ্চল্যকর স্কুল ছাত্রী আফসানা মিমি গণধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায়ে দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। এই মামলায় অপর চার আসামির বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে খালাস দিয়েছেন আদালত। এছাড়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত দুই আসামির প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার বিকাল সাড়ে তিনটায় জনাকীর্ণ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৩-এর বিচারক মোঃ মহিদুজ্জামান এই রায় ঘোষণা করেন।
ফাঁসির আদেশ হওয়া আসামিরা হলো বাবুল হোসেন ওরফে কালা বাবু ও এমদাদ হোসেন।
খালাস প্রাপ্তরা হলো জাহাঙ্গীর আলী, নজরুল ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম ও আশা মিয়া।
রায় ঘোষণা সময় আদালতে ছয় আসামি ও নিহতের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলো।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় নগরীর খালিশপুরের বাস্তুহারা এলাকায় বাস্তুহারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী আফসানা মিমি ঝালমুড়ি কিনতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর মেয়েকে না পেয়ে থানায় জিডি করেন পিতা ইমাম হোসেন। পরদিন দুপুরে একটি ডোবায় আফসানার লাশ দেখতে পায় এলাকাবাসী। এ ঘটনায় পিতা বাদি হয়ে বাবুল হোসেন ওরফে কালা বাবু ও এমদাদ হোসেনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৪/৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গ্রেফতারের পর আসামি বাবুল হোসেন আদালতে আফসানাকে গণধর্ষণ ও শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ একটি ডোবায় ফেলে রাখার লোমহর্ষক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
তদন্ত শেষে ছয়জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। ১৮ সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আদালত এই রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষকে মামলা পরিচালনায় সহযোগিতা করে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা।
বার্তাবাজার/ডব্লিওএস