৩ বছর পর ভারত-বাংলাদেশ বর্ডারহাটে যৌথসভা অনুষ্ঠিত

কুড়িগ্রাম জেলার রাজিবপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা বালিয়ামারী বর্ডারহাটে ডিসি-ডিএম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে সপ্তাহে একদিনের বদলে দুইদিন হাট বসানোসহ বেশ কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।

এর মধ্যেবর্ডারহাটের সময় বৃদ্ধিকরণ, বিক্রয়যোগ্য পণ্যের প্রকার বাড়ানোসহ বিভিন্ন বিষয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। বাংলাদেশ-ভারত যৌথ বর্ডারহাট ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাটি বুধবার বিকেলে রাজিবপুর উপজেলার বালিয়ামারী ও ভারতের মেঘালয় রাজ্যের কালাইরচর সীমান্তে অবস্থিত বর্ডারহাট চত্বরে তিনঘন্টাব্যাপী এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশের পক্ষে কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোছা: সুলতানা পারভীনের নেতৃত্বে অংশ নেন- জামালপুর ৩৫ বিজিবি’র অধিনায়ক লে.কর্ণেল এস.এম আজাদ, কুড়িগ্রামের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মেনহাজুল আলম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জিলুফা সুলতানা, চর রাজীবপুরের ইউএনও মেহেদী হাসান সহ প্রতিনিধিদল।

ভারতীয় পক্ষে মেঘালয় রাজ্যের আমপাতি গাড়োহিল সাউথওয়েষ্টের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শ্রী রাম কুমার আইএএস এর নেতৃত্বে অংশ নেন- বিএসএফ’র সেক্টর কমান্ডার জেপি চৌহান, পুলিশ সুপার তরুণ রবী, আইপিএস ঋতুরাজ রবীসহ প্রতিনিধিদল।

এসময় বর্ডারহাটের মানোন্নয়নে বিজিবি-বিএসএফ নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য অস্থায়ী শেড নির্মাণ, বর্ডারহাটের সময় বৃদ্ধিকরণ, পণ্যের প্রকার বাড়ানো, হাটের রক্ষণাবেক্ষন ও সৌন্দর্যবর্ধন এবং বিক্রয় ব্যবস্থাপনা নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। যৌথসভায় বর্ডারহাটের সময় বাড়িয়ে সপ্তাহে ১দিন থেকে বৃদ্ধি করে সপ্তাহে সোমবার ও বুধবার ২দিন হাট বসার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

হাটের সময়সীমা সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টার পরিবর্তে বিকেল ৩টা পর্যন্ত করা হয়। প্রায় সাড়ে ৩ বছর পর দুদেশের সীমান্ত হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির যৌথসভা অনুষ্ঠিত হল। হাটে নির্ধারিত আইডি কার্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশের ২৫ জন বিক্রেতা ও ৬১৪ জন ক্রেতা এবং ভারতের ৫০জন বিক্রেতা ও ৩৫৯ জন ক্রেতা পন্য কেনাবেচা করতে পারেন।

বার্তাবাজার/এম.কে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর