নিয়ন্ত্রীত বোলিংয়ে চালকের আসনে বাংলাদেশ

১৭৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে মাঠে আসেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন টেইলর এবং হ্যামিলটন মাসাকাদজা। কিন্তু রানের খাতা খোলার আগেই সাইফুদ্দিনের বলে বিদায় নেন টেইলর। দলীয় ০ রানের মাথায় কোনো রান না করেই আউট হন টেইলর।

তারপরই সাকিবের বলে ০ রানে বিদায় নেন চাকাবা। চাকাবার বিদায়ের পর মাঠে আসেন বামহাতি অলরাউন্ডার উইলিয়ামস। কিন্তু উইলিয়ামসকে বেশিদূর যেতে দেন নাই শফিউল। নিজের প্রথম ওভারে এসেই উইকেট তুলে নেন শফিউল।

দলীয় ৮ রানের মাথায় ব্যাক্তিগত ২ রান নিয়ে শফিউলের বলে আউট হন উইলিয়ামস। উইলিয়ামসের বিদায় কোনঠাসা হয়ে পড়ে জিম্বাবুয়ের ইনিংস। তারপর দলের হাল ধরেন মুতম্বদজি এবং মাসাকাদজা।

দেখে শুনে খেলে জিম্বাবুয়ের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান এই দুই ব্যাটসম্যান। কিন্তু এই দুজনকে বেশিদূর যেতে দেন নাই অভিষিক্ত লেগ স্পিনার আমিনুল। নিজের প্রথম ওভারে এসেই মুতম্বদজির উইকেট তুলে নেন মমিনুল। মুতম্বদজির বিদায়ের পর মাঠে আসেন গত ম্যাচে বিদ্ধ্বংসি ব্যাটিং করা রায়ান বার্ল।

বার্লকে বিদ্ধ্বংসি হওয়ার আগে বিদায় করে দেন শফিউল। প্রথম ওভারের মতো দ্বিতীয় ওভারে এসেও উইকেট তুলে নেন শফিউল। দলীয় ৩৭ রানের মাথায় ব্যাক্তিগত ১ রান নিয়ে শফিউলের বলে আউট হন রায়ান বার্ল।

রায়ান বার্লের বিদায়ের পর আউট হন দলপতি মাসাকাদজা। আবারো সেই অভিষিক্ত আমিনুলের চমক। দলীয় ৪৪ রানের মাথায় ব্যাক্তিগত ২৫ রান নিয়ে আমিনুলের বলে আউট হন মাসাকাদজা। মাসাকাদজার আউটের পর বলাই যাই জিম্বাবুয়ের হার এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ১১ ওভারে ৬ উইকেটে ৬১ রান।

এর আগে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ দল। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে আসেন দুই ওপেনিং ব্যাটসম্যান অভিষিক্ত নাজমুল হাসান শান্ত এবং অভিজ্ঞ লিটন দাস।

দেখে শুনেই শুরু করেন এই দুই ব্যাটসম্যান। অনেকটা বিদ্ধ্বংসি ব্যাটিং শুরু করেন লিটন। লিটনের বিদ্ধ্বংসি শুরুর পরিবর্তে বেশিক্ষন মাঠে থাকতে পারেন নাই শান্ত। দলীয় ৪৯ রানের মাথায় ব্যাক্তিগত ১১ রান নিয়ে বলে জার্ভিসের আউট হন নাজমুল হাসান শান্ত। শান্তর বিদায়ের পর একই পথে হাঁটেন দারুন শুরু করা লিটন।

দলীয় ৫৫ রানের মাথায় ব্যাক্তিগত ২২ বলে ৩৮ রান নিয়ে আউট হন লিটন। লিটনের বিদায়ের পর মাঠে আসেন মুশফিক। সাকিবকে সাথে নিয়ে দেখে শুনে খেলেন মুশফিক। কিন্তু হটাৎ খেই হারিয়ে ফেলেন সাকিব। দলীয় ৬৫ রানের মাথায় ব্যাক্তিগত ১০ রান নিয়ে আউট হন সাকিব।

সাকিবের বিদায়ে চাপে পড়ে টাইগাররা। তবে সে চাপ সামলিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান দুই বায়রা রিয়াদ-মুশফিক। কিন্তু খেলা শেষ করে আসতে পারেননি মুশফিক।

নিজের অর্ধশত করার আগেই আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন মুশফিক। ৩২ রান করে আউট হন মুশফিক। আউট হওয়ার আগে রিয়াদের সাথে করেন অনবদ্ধ ৭৮ রান।

মুশফিকের মতো ম্যাচ শেষ করে আসতে পারেন নাই রিয়াদ। ৪১ বলে ৬২ রান করে আউট হন রিয়াদ। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ২০ ওভারে সংগ্রহ করে ৭ উইকেটে ১৭৫ রান। যার ফলে জিম্বাবুয়ের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২০ ওভারে ১৭৬ রান।

বার্তাবাজার/কেএ

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর