জোরপূর্বক বিয়ে দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ কাজীর বিরুদ্ধে

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বাগবাটি ইউনিয়নে আব্দুল বাকি নামের এক ভুয়া কাজীর খপ্পড়ে পড়ে সাধারণ মানুষ হয়রানী ও প্রতারণার শিকার হয়ে সর্বশান্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগে জানা যায়, ওই ভূয়া কাজীর লাইসেন্স না থাকলেও নিজেকে কাজী দাবী করে দীর্ঘদিন ধরে নকল বিবাহ রেজিস্ট্রি বই তৈরি করে ওই এলাকায় বিবাহ ও তালাক রেজিষ্ট্রি করে আসছে।

এতে করে একদিকে যেমন সরকার লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। অপরদিকে সাধারণ মানুষ বিবাহ ও তালাক রেজিষ্ট্রি করে প্রতারিত হচ্ছে। এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, ওই ভুয়া কাজী আব্দুল বাকি দীর্ঘদিন যাবৎ মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বাল্যবিবাহ, প্রেমঘটিত ও পরকিয়া সংক্রান্ত কোন ঘটনা ঘটলেই সেখানে ছুটি গিয়ে বিবাহের নামে ভূয়া কাগজপত্র সই স্বাক্ষর করে ভুক্তভোগী পরিবারের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।

এলাকার এক শ্রেনীর দালাল চক্রের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে সে এ কাজগুলো করে থাকেন। সদর উপজেলার ছোনগাছা ইউনিয়নের মাছুয়াকান্দি গ্রামের মৃত শায়ের আলীর ছেলে হাসান আলী অভিযোগ করে বলেন, কিছু পূর্বে তার অপ্রাপ্ত বয়স্ক ভাই ইয়াকুব আলীকে এলাকার দালাল চক্রের মাধ্যমে আটক করে রেখে বাগবাটি ইউনিয়নের দত্তপাড়া গ্রামের বেল্লাল হোসেনের মেয়ে চুমকির খাতুনের সাথে আড়াই লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য করে জোরপূর্বক বিবাহ দেয়।

তার কিছুদিন পরেই চলতি বছরের ১৭ আগস্ট তারিখে ওই চুমকি খাতুনকে দিয়ে ইয়াকুব আলীকে আবার তালাক দিয়ে দেনমোহরের আড়াই লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে ওই ভুয়া কাজী আব্দুল বাকি ও মেয়ের বাবা বেল্লাল হোসেন ভাগবাটয়ারা করে নেয়। পরে ইয়াকুব আলীর পরিবারের লোকজন ওই বিবাহ রেজিস্ট্রির নকলনামা চাইলে ভুয়া কাজী আব্দুল বাকি নানা তালবাহানা শুরু করে।

অভিযোগ রয়েছে ওই ভুয়া কাজী আব্দুল বাকি শুধু এই ঘটনাই না এরকম শত শত ভূয়া বিবাহ ও তালাক রেজিস্ট্রি করে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করছেন। এলাকাবাসী ও ভুয়া কাজীকে গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে ভুয়া কাজী আব্দুল বাকি’র সাথে যোগযোগ করলে তিনি ইয়াকুব আলী ও চুমকি খাতুনের বিবাহ ও তালাকের কথা স্বীকার করে বলেন, আমি বাগবাটি ইউনিয়নের কাজী হাসিনুর রহমান বাবলুর সহকারী হিসেবে কাজ করি। তার কাছেই এ বিবাহের কাগজপত্র রয়েছে।

আব্দুল বাকীর কথার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য বাগবাটী ইউনিয়নের কাজী হাসিনুর রহমান বাবলুর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এ বিবাহ ও তালাকের কথা অস্বীকার করে বলেন, আব্দুল বাকি নামের আমার কোন সহকারী নেই।

এদিকে এলাকাবাসী ভুয়া আব্দুল বাকীর কাজীর বিরুদ্ধে সংশিষ্টদের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

বার্তাবাজার/ডব্লিএস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর