কালিহাতীর হামিদপুরে হাত বাড়ালেই মাদক, দিশেহারা এলাকাবাসী

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার পৌরসভার সীমান্তবর্তী এলাকা হামিদপুরে হাত বাড়ালেই মিলছে রকমারি মাদকদ্রব্য। সহজলভ্যে কিশোর যুবকরা মাদকদ্রব্য পেয়ে দিনদিন নৈতিক অবক্ষয়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এলাকার বিভিন্ন চায়ের দোকান, মুদির দোকান এমনকি বিভিন্ন রিক্সা চালকরাও এ শক্তিশালী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নানা ধরনের মাদকদ্রব্য ফেরি করে বিক্রি করছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।

সরেজমিনে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, কালিহাতী পৌরসভা উত্তর বেতডোবার স্থানীয় ইদ্রিস আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম রবি (৩০) একসময় রিক্সা চালাতেন। কিন্তু স্থানীয় কাউন্সিলর একসময়ের বিএনপি’র সহযোগী সংগঠন ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী এবং বর্তমানে সরকার দলীয় ছত্রছায়ায় থানা অজয় কুমার দে লিটনের প্রলোভনে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে রবি। অল্প সময়ের মধ্যে বড়লোক হওয়ার নেশায় কাউন্সিলর লিটনের ভাড়াটে তরফদার রাইস মিলের ভিতরেই গড়ে তুলে মাদকের বিশাল সিন্ডিকেট। সময়ও বেশি লাগেনি রবির বড়লোক হতে। পর্যায়ক্রমে সে উত্তর বেতডোবার ওই রাইস মিলস থেকে শুরু করে বিভিন্ন চায়ের দোকান, মুদির দোকান এমনকি স্থানীয় কতিপয় রিক্সা চালকের মাধ্যমে মরন নেশা হিরোইন, ইয়াবা, চোলাই মদ, গাঁজা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য হামিদপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে বিভিন্ন স্থানে অবাধে বিক্রি করছে। এ মাদকদ্রব্য বিক্রি করে রবি অল্পদিনের মধ্যেই জিরো থেকে হিরো বনে গেছেন। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন তার লাগাম টেনে ধরতে পারছেনা। পুলিশ তাকে একাধিকবার গ্রেপ্তার করেও কাউন্সিলর লিটনের অদৃশ্য ক্ষমতায় বারবার পাড় পেয়ে যাচ্ছে মাদক স¤্রাট রবি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, উত্তর বেতডোবার সেন্টু মেম্বারের বাড়ীর পাশের্^ রবি’র মাদক ব্যবসার এজেন্ট হাদু মিয়া ওরফে আনোয়ার (৩০) তার চায়ের দোকানে বিকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য বিক্রি করছে অবাধে। অন্যদিকে স্থানীয় রিক্সাচালক হেলাল (২৮), আলামীন (২২) ও স্থানীয় বেল্লাল হোসেন (৩৫), মতি মিয়া ওরফে ফেরদৌস (২৮), শাহ আলী (৪০), বাদল (৩০), রফিক (৩৫), সুজন (২৫) দেদারসে প্রতিনিয়তই এ মরননেশা মাদকদ্রব্য বিক্রি করে চলেছে। ফলে স্থানীয় যুবসমাজের দিন দিন নৈতিক অবক্ষয়ের সৃষ্টি হচ্ছে। তাদেরকে সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে অভিভাবকরা। অপরদিকে এলাকাটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অধ্যুষিত হওয়ায় এলাকায় প্রায় ১০/১২ টি দূর্গা মন্দির রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সংখ্যালঘুরা পূজা অর্চনা উৎসব পরিচালনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

এ বিষয়ে কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ হাসান আল মামুন মুঠোফোনে জানান, বিষয়টি আমি অবগত নই তবে খুব দ্রুতই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
ষ্টাফ রিপোর্টার।

বার্তাবাজার/কে.জে.পি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর