ছাত্রীকে জোর করে চুমু খেলেন প্রধান শিক্ষক, অভিভাবকদের বিক্ষোভ

পটুয়াখালীতে প্রধান শিক্ষক কর্তৃক তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রীর মুখে জোর করে চুমু দেয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আবু সালেহ মোহাম্মদ ইছার বিচার দাবি করে মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কাংকুনিপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও এলাকাবাসী বিক্ষোভ করেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বালিয়াতলী ইউনিয়নের কাংকুনিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সালেহ ইছা সোমবার বেলা ১১ টায় তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে একা অফিস রুমে ডেকে নিয়ে স্কুলে না আসার কথা জিজ্ঞেস করে এক পর্যায় শরীরে হাত দেয়। পরে ওই শিক্ষার্থীর মুখে চুমু দেয়। একাধিক শিশু শিক্ষার্থী জানায়, ওই শিক্ষার্থীর মুখে চুমু দেয়ার পরে কাউকে ওই কথা না বলতে বলা হয় ও ক্লাশে ফার্স্ট বানানোর প্রস্তাবও দেয়।

প্রথমে ওই ছাত্রী তার এক বোনকে বিষয়টি বলে। ওই বোন শিশুর বাবা মোস্তফা হাওলাদারকে খবর দেয়। স্কুলে পৌছে শিশুর কাছ থেকে সব শুনে বিষয়টি নিয়ে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ এনামুল হককে বলেন। তিনি জানান, প্রধান শিক্ষককে ডেকে তিনি জিজ্ঞেস করলে পা ধরে ক্ষমা চায়। এমনকি শিশুর বাবা শ্রমজীবী মোস্তফা হাওলাদারের পা জড়িয়ে ধরে ক্ষমা চান প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ ইছা।

শিশুর বাবা বলেন, ‘তারাও (শিক্ষকরা) মোগো সন্তানের বাপের মতো। ও (মেয়ে) দুই দিন স্কুলে যায়নি। একারণে রুমে একা ডাইক্কা মুখে চুমা দেয়’।

অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আবু সালেহ মোহাম্মদ ইছা এসব অস্বীকার করে বলেন, এটি ষড়যন্ত্র। তবে কারা ষড়যন্ত্র করছে তা বলেননি।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবুল বাশার জানান, তিনি তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) অনুপ দাশ জানান, শিক্ষা অফিসারকে তদন্ত করে জরুরি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলেছেন।

বার্তবাজার/এএস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর