বগুড়ার শেরপুরে আলিম পরীক্ষার প্রবেশপত্রের দাম ৪’শ ১০ টাকা

বগুড়ার শেরপুরে শহীদিয়া কামিল স্নাতকোত্তর মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র নিতে প্রতিষ্ঠানের রশিদ ছাড়াই অতিরিক্ত টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষ মো. হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে।

জানা যায়, শেরপুর শহীদিয়া কামিল স্নাতকোত্তর মাদ্রাসার চলতি আলিম পরীক্ষায় ১৯১ জন ছাত্র-ছাত্রী অংশ গ্রহন করছে। পরীক্ষার প্রবেশপত্র বিতরণ কালে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে প্রতিষ্ঠানের রশিদ ছাড়াই সাদাকালো লিখে অতিরিক্ত ৪’শ ১০ টাকা করে আদায় করছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পিয়ন আতিকুল ইসলাম ও অফিস সহকারি মুকুল হোসেন।

পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা কেন নেয়া হচ্ছে এমন প্রশ্নে অফিস সহকারি মুকুল হোসেন জানান, বেশী টাকা নেয়ার ব্যাপারে আমরা কিছু বলতে পারবনা এটা আমাদের অধ্যক্ষ জানেন। এসময় পাশে থাকা অফিস পিয়ন স্থানীয় সংসদ সদস্যের আত্মীয় পরিচয়দানকারী আতিকুল ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিবেদককে বলেন, কিসের জন্য টাকা নেয়া হচ্ছে সেটাকি আপনাকে বলতে হবে। এটা আমাদের অফিসিয়াল ব্যাপার। তাছাড়া আপনারা বলার কে ?

এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিভাবক বলেন, প্রবেশপত্র নিতে টাকা নেয়া হয় এটা আমরা আগে কখনো শুনিনি। তাছাড়া ফরম ফিলাপের সময় অন্যান্য ফি সহ কেন্দ্র ফি নেয়া হয়েছে বলে আমরা জানি। আসলে এটা কেন্দ্র ফি নাকি অনৈতিক কোন সুবিধা এটাই আমরা বুঝতে পারছিনা।

এ ব্যাপারে শেরপুর শহীদিয়া কামিল স্নাতকোত্তর মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. হাফিজার রহমান বলেন, একটা কেন্দ্র চালাতে অনেক খরচ হয়। অনেককেই অনারিয়াম দিতে হয়। এতো খরচ প্রতিষ্ঠান থেকে দেয়া সম্ভব নয়। তাই বিনা রশিদে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে গড়ে ৪’শ ১০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর