ফুটপাতের লেগুনা ষ্ট্যান্ড ও দোকান উচ্ছেদ জবি শিক্ষার্থীদের

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দক্ষিণ ফটক সংলগ্ন ফুটপাতের লেগুনা স্ট্যান্ড ও মেরামত দোকান উচ্ছেদ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। উচ্ছেদে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিকে ও দোকান ও অবৈধ স্থাপনা অপসারণে ঢাকা জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

মঙ্গলবার বেলা ১০.০০ টায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে ফটক সংলগ্ন এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে এবং একই দিনে অবৈধ স্থাপনা অপসারণের জন্য উপাচার্যের আদেশক্রমে জবি প্রশাসন ঢাকা জেলা প্রশাসক বরাবর একটি আবেদন করেন।

সরেজমিনে জানা যায়,দীর্ঘ দিন দক্ষিণ ফটকে (সদরঘাট মুখি) এসব অবৈধ স্থাপনা ছিল। এসব স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা বেশ কয়েকবার আন্দোলন করলেও কোন কাজ হচ্ছিলনা। ছাত্রলীগের নেতাদের কারণে এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করতে ব্যর্থ হয় জবি প্রশাসন ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। কিন্তু ক্যাম্পাসে কোন কমিটি না থাকায় এ উচ্ছেদ করতে সম্ভব হয় বলে জানান অনেকে। সর্বশেষ গত ১৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষার্থীরা লেগুনা স্ট্যান্ড ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করলেও ১৬ সেপ্টম্বর প্রশাসন ফটকটি বন্ধ করে এবং লেগুনা মালিকরা আবারো স্ট্যান্ডটি চালু করাই শিক্ষার্থীরা এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে বাধ্য হয়। তবে এ উচ্ছেদে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রলীগের অনেক কর্মীরাকে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়।

এছাড়াও আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয় যে,শিক্ষার্থী-পথচারীদের চলাচল নিশ্চিত,বহিরাগতদের নানান অপকর্ম থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার পরিবেশ কুলষিতমুক্ত রাখতে ফটক সংগলগ্ন অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করার জন্য জবি প্রশাসন জানায়।

আন্দেলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান,আমাদের ক্যাম্পাসকে সুন্দর-দখলমুক্ত এবং শিক্ষার্থী-পথচারীদের চলাচল নিশ্চিত করতে আমরা এ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছি। ক্যাম্পাস এলাকায় কোন দখল করা যাবে না বলে হুশিয়ারী দেন তারা।

উচ্ছেদে অংশ নেওয়া ছাত্রলীগ কর্মী ১১ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো:হামীম তালুকদার সান বার্তা বাজারকে বলেন,বঙ্গবন্ধুর এ বাংলায় দখলকারীর স্থান নেই, তাই আমি এ উচ্ছেদ করার জন্য অংশগ্রহণ করি। শিক্ষার্থী হয়ে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপনা দখল করে বাণিজ্য করে তারা বঙ্গবন্ধুকে ভালবাসেনা তাদের বিরুদ্ধে আমরা সর্বদায় সোচ্চার আছি।

বাহাদুর শাহ পরিবহন (লেগুনা) মালিক সমিতির সভাপতি আবদুস সালাম এ বিষয়ে বার্তা বাজারকে বলেন, আমরা এখান থেকে লেগুনা স্ট্যান্ড সরানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি।এখান থেকে স্ট্যান্ড সড়ানো হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড.মোস্তফা কামাল এ বিষয়ে বার্তা বাজারকে বলেন,আগামী সাত দিনের মধ্যে আমরা সকল অবৈধ স্থাপনা সড়িয়ে দিয়ে দ্বিতীয় গেট উন্মুক্ত করে দিবো। এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের সাথে আমরা কথা বলেছি।

বার্তাবাজার/ডব্লিওএস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর