মনিরামপুরে পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

যশোর মণিরামপুরে পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে স্কুল ছুটির পর বাড়ি ফেরার পথে আব্দুস সাত্তার খাঁ (৫০)নামে এক ব্যক্তি শিশুটিকে জোর করে পাট ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।

অভিযুক্ত আব্দুস সাত্তার মনিরামপুর উপজেলার হরিহরনগর ইউপির মধুপুর গ্রামের মৃত মুনসুর খাঁর ছেলে।ভুক্তভোগী শিশুটি স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী।

খবর পেয়ে মঙ্গলবার(১৭ সেপ্টেম্বর)দুপুরে ঝাঁপা ক্যাম্প পুলিশের আইসি এসআই আকিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে যায়।এদিকে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন অভিযুক্ত আব্দুস সাত্তার।তার পরিবারের লোকজন বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি।

ধর্ষণের শিকার ছাত্রী ও তার এক শিক্ষক জানান,বৃহস্পতিবার দুপুরে স্কুল ছুটি হলে বাড়ি ফিরছিল মেয়েটি। বাড়ি যাওয়ার পথে একটি মাঠ পড়ে। মাঠ পার হওয়ার সময় আব্দুস সাত্তার নামের লোকটি মেয়েটিকে ধরে জোর করে রাস্তার পাশে পাট ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করে। সোমবার স্কুল সময়ে ওই ছাত্রীর মা এসে বিষয়টি প্রধান শিক্ষককে জানায়।নারী শিক্ষকদের দিয়ে ওই ছাত্রীর কাছে বিষয়টি জানার চেষ্টা করা হয়েছে।যতবার জানার চেষ্টা হয়েছে,মেয়েটি কিছু বলেনি,কান্না করেছে।বিষয়টি সহকারী শিক্ষা অফিসার শামীম ওসমানকে জানানো হয়েছে।

একাধিক সূত্র বলছে,মধুপুর গ্রামের খলিলুর রহমান নামে এক ব্যক্তি ঘটনাটি দেখে ফেলেন।এর পরপরই এলাকায় তা প্রচার হয়ে যায়। বিষয়টি থানা পুলিশে না জানিয়ে একটি চক্র সমাধানের নামে অর্থ হাতানোর চেষ্টা করেছে। মেয়েটির পিতা প্রবাসে থাকায় ও আব্দুস সাত্তার এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় তার পরিবার ভয়ে মুখ খুলতে পারেননি।অবশেষে স্থানীয় কয়েক যুবকের সাহায্যে সোমবার স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেন ছাত্রীর মা। তবে মোবাইল বন্ধ থাকায় এই বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক সাইজুল ইসলামের বক্তব্য জানা যায়নি।

উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার শামীম ওসমান বলেন, প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক সাইজুল ইসলাম বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন।স্থানীয় হরিহরনগর ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম বলেন,বিষয়টি আমি শুনেছি।

ঝাঁপা ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ এসআই আকিকুল ইসলাম বলেন,কেউ আমাদের কাছে অভিযোগ করেননি।মৌখিকভাবে বিষয়টি শুনে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। মেয়েটির সাথে কথা বলে প্রাথমিকভাবে বিষয়টি সত্য বলে মনে হয়েছে।ছাত্রীর স্বজনদের থানায় মামলা করতে বলা হয়েছে।

মণিরামপুর থানার ওসি(তদন্ত) সিকদার মতিয়ার রহমান বলেন, বিষয়টি জানা নেই।খোঁজ নিয়ে দেখছি।

বার্তাবাজার/ডব্লিওএস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর