সিরাজগঞ্জে দুই স্কুলছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করলো ম্যাজিস্ট্রেট

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় একই দিনে দুই স্কুল ছাত্রীকে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা করেছে সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনিসুর রহমান।

সোমবার রাতে সিরাজগঞ্জ সদরের রতনকান্দি ইউনিয়নের হরিনা গ্রামের দশম শ্রেণীর রিমা খাতুন (১৫) এবং রতনকান্দি ইউনিয়নের হরিনারায়ণপুর গ্রামে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী মোছাঃ তমালিকা খাতুন (১৩) এর বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) আদালত সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিরাজগঞ্জ সদরের রতনকান্দি ইউনিয়নের হরিনা গ্রামে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে কনের কনের বাড়ীতে উপস্থিত হন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তখন কনের বাড়ীতে কনে সিরাজগঞ্জ সদরের হরিনা গ্রামের মো. নূরনবী এর মেয়ে রিমা খাতুন (১৫) এর সাথে বর একই উপজেলার খোড়াগাতী গ্রামের মো. আব্দুল রাজ্জাক এর পুত্র আলমগীর বাদশা (২৩) এর বিয়ের আয়োজন চলছিল।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে কাজী পালিয়ে যায়। কনে স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালত বাল্যবিবাহ বন্ধ করে কনের বাবার কাছ থেকে কনে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবে না বলে মুচলেকা নেন এবং কনের পিতা নূরনবীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

এরপর রাতে রতনকান্দি ইউনিয়নের হরিনারায়ণপুর গ্রামে বাল্যবিবাহ বন্ধে অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত। তখন কনের বাড়ীতে কনে হরিনারায়ণপুর গ্রামের মো. নূরনবী এর কন্যা তমালিকা খাতুন (১৩) এর সাথে বর একই উপজেলার ছোনগাছা ইউনিয়নের পাচঠাকুরী গ্রামের মো. আবু সাইদ এর পুত্র মো. রুহুল আমিন(৩৫) এর বিয়ের আয়োজন চলছিল। কনে স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী।

এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে বরপক্ষ পালিয়ে যায়। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালত বাল্যবিবাহ বন্ধ করে কনের মায়ের কাছ থেকে কনে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিবাহ দিবেন না বলে মুচলেকা নেন।

এ সময় পৌর ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম ও আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বার্তাবাজার/ডব্লিওএস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর