শিশুটিকে হত্যার পর মাটিতে পুঁতে রাখে সৎ মা

বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার বদনিভাঙ্গা গ্রামে সিয়াম (৭) নামে এক মাদরাসাছাত্রকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তারই সৎমার বিরুদ্ধে। নিখোঁজের দুই দিন পর সিয়ামের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।এ ঘটনায় সৎমা ফেরদৌসী বেগমকে (২৮) আটক করা হয়েছে।

নিহত শিশু সিয়াম মোরেলগঞ্জ উপজেলার হোগলাবুনিয়া ইউনিয়নের বদনিভাঙ্গা গ্রামের মিরাজ মোল্লার প্রথম সংসারের ছেলে এবং স্থানীয় বিএস রহমাতিয়া দাখিল মাদরাসার শিশু শ্রেণির ছাত্র ছিল।

মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম জানান, গেল রোববার সিয়াম নিখোঁজ হয়। পরিবার তাকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। একপর্যায়ে পুলিশের সন্দেহ হলে শিশু সিয়ামের সৎ মা ফেরদৌসী বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সে সিয়ামকে হত্যার কথা স্বীকার করে। সিয়ামকে হত্যা করে বাথরুমের পাশে মরদেহ পুঁতে রেখেছিল তার সৎ মা। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বাথরুমের পাশের গর্ত থেকে সিয়ামের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সিয়ামের হত্যাকারী সৎ মা ফেরদৌসী বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিহত শিশুর বাবা মিরাজ মোল্লা জানান, তার প্রথম সংসারের ছেলে সিয়াম গত রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মাদরাসা থেকে এসে দাদির সঙ্গে বসে খাবার খায়। পরে তার দাদি সালেহা বেগম পার্শ্ববর্তী পাঠামারা গ্রামে ছোট মেয়ের বাড়িতে যান। পরে সিয়াম তার দাদির সঙ্গে যেতে না পেরে কান্নাকাটি করে। এ সময় তার সৎমা ফেরদৌসী ঘরে থাকা শিলপাটা দিয়ে সিয়ামের পিঠে ও মাথায় আঘাত করে। তার কান্নার শব্দ যাতে বাইরে যেতে না পারে এজন্য গেঞ্জি মুখের মধ্যে দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরবর্তীতে ঘরের সামনে টয়লেটের পাশে ময়লা আবর্জনার একটি গর্তে মরদেহ ঢেকে রাখে।

সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুজির পর অবশেষে পাওয়া গেল ছেলেন নিথর দেহ।

বার্তাবাজার/এএস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর