ফাঁসির রায় শুনার পর আসামি হাসছেন বাদি কাঁদছেন!

পাঠক, শিরোনম দেখে হতচকিয়ে গেছেন নিশ্চয়।এমন কথা শুনলে কেউ কি হাসে!হয়ত ভাবছেন তিনি ভারসাম্যহীন।না।তিনি তাও নন।সবই ঠিক আছে।শুধু সবাইকে অবাক করেছেন এক সময়ের ঘাতক। নারায়নগঞ্জের বন্দরে ছোট ভাইয়ের গর্ভবতী স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আসামি আমীর হোসেনকে ফাঁসিতে ঝুলির মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ নিয়েছে আদালত। আদেশের পর আসামিকে আদালত থেকে কারগারে নেয়ার সময় হাসিতে মেতে উঠে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। একই সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন মামলার বাদি।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের আদালতপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। অতিরিক্ত দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক অবতারণা শেখ রাজিয়া সুলতানা বন্দরের এক গৃহবধু হত্যা মামলার রায় প্রদানের পর এ দৃশ্যের অবতারণা হয়।

নিহত ওই গৃহবধূর নাম তাসলিমা বেগম। তিনি বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জের ইসলামবাগ এলাকার মনির হোসেনের স্ত্রী।

আদালতে সূত্রে জানা যায়, আসামি আমির হোসেন ও তার স্ত্রীর বিভিন্ন এনজিও’র ঋণের টাকার জামিনদার ছিলেন ছোট ভাই মনির হোসেনের স্ত্রী তাসলিমা বেগম। টাকা পরিশোধ করতে না পেরে সিদ্ধান্ত নেন পালিয়ে যাওয়ার। পরে ওই দিনই কোনো গোপন সূত্রে হানা দেয় এনজিও কর্মীরা। এ ঘটনায় আমির হোসেন পক্ষ সন্দেহ করে তাসলিমা বেগমকে।

এ ঘটনার জের ধরে ২০১৪ সালের ৩ জুলাই রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গেলে বাড়ির উঠানে দুই সন্তানের সামনেই গর্ভবতী স্ত্রী ওই নারীকে কুপিয়ে হত্যা করেন আসামি আমির হোসেন। পরে বন্দর থানায় ছোট ভাই মনির হোসেন ৩০২ ধারায় মামলা দায়ের করেন। (মামলা নং-১৮৮/১৫)

বাদি পক্ষের আইনজীবী জানান, নিহত তাসলিমা বেগমের দুই সন্তানসহ ১৭ জনের সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আসামি আমির হোসেনকে ফাঁসিতে লটকিয়ে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেন আদালত।

বার্তাবাজার/এএস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর