আমরাই সাহসী, ১০ বছর লড়েছি, শেষ পর্যন্ত লড়ব

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘দেশে গণতন্ত্র নেই। আর ক্ষমতাসীনরা কী মনে করেন এর চাইতে সুন্দর গণতন্ত্র হতে পারে না। এজন্য স্পষ্ট করে বলা দরকার- ক্ষমতায় যারা আছেন ওরা মিথ্যুক, ওরা প্রতারক, ওরা ভন্ড এবং ওরা কাপুরুষ।’
তিনি বলেন, আমরাই সাহসী, আমরা ১০ বছর লড়েছি। আমরা আছি, শেষ পর্যন্ত আমরা লড়ব। কোনো বিভ্রান্তিতে আমাদের পড়া ঠিক হবে না।

সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর তোপখানা রোডে শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে নাগরিক ঐক্যের উদ্যোগে ‘বিশ্ব গণতন্ত্র দিবস ও আমরা’ শীর্ষক এ মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সরিয়ে দেয়ার ঘটনা উল্লেখ করে ডাকসুর সাবেক ভিপি মান্না বলেন, ‘গতকালকে একটা টক-শোতে গেছি, কয়েক দিন ধরে এই যে, ছাত্রলীগের বিরাট অর্জন- এটা নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছে এবং উনারা আমাদের দিয়ে বলাবার চেষ্টা করেন- প্রধানমন্ত্রী যে এর বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখিয়েছেন এটাকে অন্তত প্রশংসা করেন, ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে দায়িত্ব থেকে বের করে দিয়েছেন-এটাকে ভালো বলবেন না।’

তিনি বলেন, ‘আরে এটা যদি ভালোই হতো, এটা যদি দুর্নীতির বিরুদ্ধে বার্তাই হতো তাহলে হল-মার্কের কেলেঙ্কারির পরে আপনার উপদেষ্টার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি কেন? এটা যদি সত্যিই হতো আপনি জনগণকে বার্তা দিতে চান যে আপনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে আপসহীন লড়াই শুরু করতে চান তাহলে বাংলাদেশের সব কয়টা ব্যাংক যে একের পর এক খালি হয়ে যাচ্ছে- এই ব্যাংকের পতনের জন্য যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে কিছু করেছেন আজ পর্যন্ত। কিছুই করেনি ….। ‘

মান্না বলেন, ‘আপনার আগের অর্থমন্ত্রী (আবুল মাল আবদুল মুহিত) বলেছেন, সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা ওটা তো বাদামের খোসার মতো। ওই বাদামের খোসার অর্ধেক জায়গার জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে ১০ বছর সাজা দিয়েছেন। উনি (খালেদা জিয়া) টাকাটা চুরি করেছেন? ওই টাকা এক ব্যাংকে রাখার কথা সেটা আরেক ব্যাংকে আছে। বলতে পারেন যে, উনি একটা ইরেগুলারিটি করেছেন। সেই ২ কোটি টাকা ফুলে-ফেঁপে ৮ কোটি টাকা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘উনার যদি ১০ বছর সাজা হয়, তাহলে ৮৬ কোটি টাকা চাওয়ার জন্য কয় বছর সাজা হবে? সেই সাজার ব্যবস্থা করেননি আপনি (প্রধানমন্ত্রী)। জোর করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে ঘুষ চাওয়ার অপরাধে তার বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার কথা ছিল, কেন মামলার ধারে-কাছেই যাচ্ছেন না।

ওদের দল থেকে বের করে দিয়েছেন? ওরা তো ছাত্রলীগের নেতা আছে, ডাকসুরও নেতা আছে, ওটা কী ছেড়েছে তারা। হাইকমান্ড ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে্ছেন, বাবা তুমি ছাত্রলীগের পদ ছাড়ো, ডাকসু ছাড়া যাবে না, ডাকসু ধরে রাখো ওটা বড় কষ্টে অর্জন করেছি।’

নাগরিক ঐক্যের প্রেসিডিয়াম সদস্য শহীদুল্লাহ কায়সারের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, গণস্বাস্থ্য সংস্থার ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, গণফোরামের জগলুল হায়দার আফ্রিক, নাগরিক ঐক্যের এস এম আকরাম, মোমিনুল ইসলাম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল।

বার্তাবাজার/এম.কে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর