সিরাজগঞ্জে আগাম সবজি চাষে মাঠে নেমেছে কৃষক

শীতের আগেই বাজারে শীতকালীন সবজি নামাতে সিরাজগঞ্জে কৃষকদের মধ্যে সবজি চাষের ধুম পড়েছে। আগাম শাকসবজি বাজারে তুলতে পারলেই অধিক টাকা উপার্জন করা সম্ভব- এ চিন্তা মাথায় রেখে চারা তৈরি ও জমি পরিচর্যায় ব্যস্ত জেলার বিভিন্ন উপজেলার কৃষকরা।

সিরাজগঞ্জ কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জেলার ৯ টি উপজেলায় ২ হাজার ৪’শ ৪৭ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়। বেগুন, মুলা, টমেটো, শিম, বরবটি, শসা, লাউ, কুমড়া, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ক্ষীরাসহ বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ করার লক্ষ্য নিয়ে কৃষকরা মাঠে নেমেছে।

জেলার সিরাজগঞ্জ সদর,চৌহালী,রায়গঞ্জ,বেলকুচি ও কামারখন্দ উপজেলায় ব্যাপকহারে শাকসবজি চাষ হয়। সাম্প্রতিক সময়ে চাষিরা সবজি চাষ করে লাভবান হওয়ায় তারা শীতের আগাম চাষে ঝুঁকে পড়েছে। আগাম সবজির মধ্যে রয়েছে মুলা, বেগুন, শিম, ফুলকপি, বাঁধা কপি, লালশাক, তিতা করলা, টমেটো, ঢেরশ, পালংশাক ও পুঁই শাক ইত্যাদি। তবে সামান্য বৃষ্টি হওয়াতে সবজি চাষ আগের চেয়ে ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সরেজমিন রায়গঞ্জ উপজেলার গ্রামগুলোতে দেখা গেছে, চাষীরা ব্যাপকহারে শীতকালীন সবজি চাষ করছে। চারা তৈরি থেকে শুরু করে আগাম শাকসবজি রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন ব্রম্মগাছা ইউনিয়নের খামারগাঁতী গ্রামের মৃত নোয়মুদ্দিন সেখের ছেলে কৃষক আজের আলী। তিনি ৫০ শতক জমিতে এ বছর শীতকালীন সবজি চাষ করছে।

স্থানীয় কয়েকজন কাচাঁমাল ব্যবসায়ী জানান, যে কোনো সবজি যদি মৌসুমের শুরুতে বাজারে তোলা যায়, তবে তার দাম বেশি পাওয়া যায়।

এ ছাড়া অত্র জেলার কামারখন্দ উপজেলায় ব্যাপক হারে সবজি চাষ হয়। এখান থেকে প্রচুর পরিমাণ সবজি স্থানীয় ভাবে চাহিদা মিটিয়ে অন্যান্যস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।

সিরাজগঞ্জ সদর ও বেলকুচি উপজেলার কয়েকটি গ্রামে দেখা গেছে, কৃষকরা শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। খেত থেকে আগাছা পরিস্কার এবং পর্যাপ্ত পানি দিচ্ছে। কেউ কেউ ফসলের উপর বিভিন্ন পোকা-মাকড় থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কীটনাশক ছিটিয়ে যাচ্ছে। প্রতিটি জমিতেই ভালো ফসল উৎপাদনের জন্য কৃষকরা খুব যত্ন সহকারে পরিশ্রম করে যাচ্ছে। তবে মাঠ থেকে পরিপূর্ণ ফল তুলতে আরো সময় লাগবে।

এ দিকে কৃষকদের দাবি কৃষি বিভাগের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তারা। যার কারণে ফসল উৎপাদন করতে গিয়ে তাদের খরচও একটু বেশি পড়ে।

সদর উপজেলার বহুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন সরকার জানান, শীতের সবজি চাষে কৃষকরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। এবারও ভাল সবজি ফলন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. হাবিবুল হক কৃষকের অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, সরকারি ভাবে যে সুযোগ সুবিধা আসে তা সকল কৃষককে প্রদান করা সম্ভব না। তবে এ বিষয়ে সার্বক্ষণিক উপজেলা পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে কৃষকদের বিনামূল্যে পরামর্শ দিচ্ছে।

বার্তাবাজার/ডব্লিওএস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর