ইয়াবা ও জাল টাকার ছড়াছড়ি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে

ইয়াবার পাশপাশি রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে এখন জাল টাকারও রমরমা কারবার শুরু হয়েছে। জাল টাকার নোট ও ইয়াবা নিয়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে অপ্রীতিকর ঘটনা। ক্যাম্পগুলোতে ইয়াবা সিন্ডিকেটের সাথে রয়েছে জাল টাকারও আলাদা সিন্ডিকেট। স্বদেশের মাটিতে প্রত্যাবাসনে ‘না’ বলে দলে দলে রোহিঙ্গারা এসব অবৈধ কারবারের দিকে ঝুঁকছে। ইতিমধ্যে ১৭ লাখ ৯০ হাজার টাকার জাল নোট নিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছে এক রোহিঙ্গা।

জানা গেছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো অনেক দিন ধরেই ইয়াবার ডিপোতে পরিণত হয়ে রয়েছে। সীমান্তে পুলিশ-র‌্যাব সহ অন্যান্য বাহিনীর অব্যাহত তৎপরতায় ইয়াবা কারবার হ্রাস পাওয়ায় সুযোগ নিয়েছে রোহিঙ্গারা। মিয়ানমারের ইয়াবা কারবারের একটি বড় অংশ রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভিত্তিক চলে যাওয়ায় রোহিঙ্গাদের অনেকেই এখন বিপুল টাকার মালিক বনে গেছে।

ইয়াবার রমরমা কারবারের সাথে সর্বশেষ যোগ হয়েছে জাল টাকা। প্রায় প্রতিটি ক্যাম্পেই জাল টাকার কারবার চলছে। অনেকেরই ধারণা, জাল টাকা তৈরির মেশিনও রোহিঙ্গা ক্যাম্পেই বসানো রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ক্যাম্পগুলোতে যত্রতত্র জাল টাকা নিয়ে নানা ঘটনাও ঘটেছে।

এদিকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় উখিয়া থানা পুলিশ শনিবার সন্ধ্যায় পালংখালী বাস স্টেশন থেকে ১৭ লাখ ৯০ হাজার টাকার জাল নোট নিয়ে একজন রোহিঙ্গাকে হাতেনাতে আটক করেছে। জাল টাকাসহ আটক হওয়া রোহিঙ্গার নাম এনাম উল্লাহ। রোহিঙ্গা এনাম ১৯ নম্বর তাজনিমার খোলা ক্যাম্পের বাসিন্দা।

উখিয়া থানার ওসি মোঃ আবুল মনসুর জানান, শনিবার সন্ধ্যায় রোহিঙ্গা এনাম উক্ত স্টেশনে সন্দেহজনক ভাবে ঘুরাঘুরি করছিল। এসময় সে একটি এক হাজার টাকার নোট দিয়ে ট্যাক্সি ভাড়া দিতে গেলে নোটটি জাল ধরা পড়ে। তখনই এলাকার নুরুল বশর নামের একজন সংবাদকর্মী তাকে আটকিয়ে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের করেছে।

বার্তাবাজার/এস.আর

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর