আফগানিস্তানের অসাধারণ জয়, পারলো না বাংলাদেশ

১৬৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে ওপেনিং ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে আসেন দুই ব্যাটসম্যান মুশফিক এবং লিটন। ইনিংসের ২য় বলে ০ রান করে মুজিবের বলে আউট হন লিটন। তারপর মাঠে আসেন সাকিব। ভালো কিছুর আভাস দিচ্ছিলেন মুশফিক। শেষ পর্যন্ত তা আর হলো না ।দলীয় ১১ রানের মাথায় ব্যাক্তিগত ৫ রান নিয়ে আউট হন মুশফিক।

এরপর মাঠে আসেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। সাকিবকে সাথে নিয়ে দেখে শুনে খেলে যাচ্ছিলেন রিয়াদ। ভালোই খেলছিলেন এই দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। কিন্তু হটাৎ খেই হারিয়ে ফেলেন সাকিব । দলীয় ৩১ রানের মাথায় ব্যাক্তিগত ১৫ রান নিয়ে মুজিবের বলে আউট হন সাকিব ।

তারপর মাঠে আসেন সৌম্ম সরকার। কিন্তু সৌম্মকে কিছু করতে দেন নাই মুজিব। সাকিবের পর একই ওভারে রানের খাতা খোলার আগে ০ রানে বিদায় নেন সৌম্ম। যার ফলে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। দলের চাপ সামলিয়ে দলকে দারুন কিছু উপহার দিতে মাঠে আসেন সাব্বির রহমান। রিয়াদকে ভালোই সঙ্গ দিচ্ছেন সাব্বির।

কিন্তু হটাৎ সব আশাকে হতাশায় রূপ দিয়ে বিদায় নেন রিয়াদ। দলীয় ৯০ রানের মাথায় ব্যাক্তিগত ৪৪ রান নিয়ে গুলবাদিনের বলে আউট হন রিয়াদ। রিয়াদের পর বেশিক্ষন আর মাঠে থাকতে পারেন নাই সাব্বির । দলীয় ৯৫ রানের মাথায় ব্যাক্তিগত ২৪ রান নিয়ে মুজিবের বলে আউট হন সাব্বির।

মুজিব ৪ ওভার করে ১৫ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। তাই বলাই যায় বাংলাদেশের ইনিংসের মেরুদন্ড ভেঙে দেন মূলত মুজিব। তারপর মাঠে আসেন মোসাদ্দেক। আফিফকে ভালোই সঙ্গ দিচ্ছিলেন মোসাদ্দেক। গত ম্যাচের মত এই ম্যাচেও দারুন শুরু করেন আফিফ।

শেষ পর্যন্ত শেষ রক্ষা আর করতে পারেন নাই আফিফ।দলীয় ১১৫ রানের মাথায় ব্যাক্তিগত ১৪ বলে ১৬ রান নিয়ে গুলবাদিনের বলে আউট হন আফিফ। আফিফের পর একে একে বিদায় নেন সাইফুদ্দিন,মোসাদ্দেক। শেষ দিকে মুস্তাফিজ এসে কিছুটা ঝড় তুলেন। মুস্তাফিজ করেন ৬ বলে ১৫ রান।

কিন্তু শেষ রক্ষা পেলো না বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ সংগ্রহ ১৯.৫ ওভারে ১০ উইকেটে ১৩৯ রান। যার ফলে আফগানিস্তান জয়লাভ করে ২৫ রানে। আফগানিস্তানের পক্ষ্যে মুজিব নেন ৪ উইকেট, রাশিদ এবং গুলবাদিন নাঈম নেন ২ উইকেট করে।

এর আগে খেলার শুরুতে মিরপুরের শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতেছেন আফগানিস্তান অধিনায়ক রশিদ খান। প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট তুলে নেন সাইফুদ্দিন। সাইফুদ্দিনের পর আঘাত আনেন সাকিব। দলীয় ১০ রানের মাথায় ব্যাক্তিগত ১ রান নিয়ে সাকিবের বলে আউট হন হাজরাতুল্লা জাজাই। শুরুতেই জোড়া উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় আফগানিস্তান ।

তারপর মাঠে আসেন আসগার আফগান। নাজিব তারাকাইকে সাথে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন আসগার আফগান। কিন্তু আসগার আফগানকে বেশিক্ষন সঙ্গ দিতে পারেন নাই নাজিব তারকাই। দলীয় ১৯ রানের মাথায় ব্যাক্তিগত ১৩ রান নিয়ে সাইফুদ্দিনের বলে আউট হন নাজিব তারাকাই।

নাজিব তারাকাইয়ের বিদায়ের পর মাঠে আসেন বিদ্ধ্বংসি ব্যাটসম্যান নাজিবুল্লা জাদরান। যদিও নাজিবুল্লাকে বিদ্ধ্বংসী হতে দেন নাই সাকিব। দলীয় ৪০ রানের মাথায় ব্যাক্তিগত ৫ রান নিয়ে সাকিবের বলে আউট হন নাজিবুল্লা জাদরান। যার ফলে ৪০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পরে রাশিদ বাহিনী ।

তারপর মাঠে আসেন আফগান অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবি। আসগার আফগানকে সাথে নিয়ে দারুণভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন আফগানদের ইনিংস। কিন্তু এই দুজনেকে আর শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকতে দেননি সাইফুদ্দিন। দলীয় ১১৯ রানের মাথায় ব্যাক্তিগত ৪০ রান নিয়ে সাইফুদ্দিনের বলে আউট হন আসগার আফগান। এই দুজনে মিলে করেন ৭৯ রান। একই ওভারে ০ রানে আউট হন গুলবাদিন নাঈম।

সৌম্ম ১৮তম ওভারে এসে দেন ২২ রান! যার ফলে আফগানিস্তান বড় সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে আফগানিস্তান সংগ্রহ করে ১৬৪ রান। ৮৪ রান করে অপরাজিত থাকেন নবি। বাংলাদেশের পক্ষে সাকিব নেন ২ উইকেট, সাইফুদ্দিন নেন ৪ উইকেট।

বার্তাবাজার/কেএ

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর