দুর্নীতি কোথায় গিয়ে ঠেকেছে: ফখরুল

চাঁদাবাজিসহ বেশ কিছু অভিযোগে ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দ্বারা দুর্নীতি কোথায় গিয়ে ঠেকেছে তা প্রমাণিত হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার দাবি, সারাদেশে দুর্নীতির একই চিত্র।

রবিবার বিকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বাদ দেয়া প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এতে এটাই প্রমাণ হয়েছে যে দেশে কী হারে দুর্নীতি চলছে। এটা শুধু একটার প্রকাশ। এটাতো সারা দেশেই চলছে। এতে প্রমাণ করে যে দুর্নীতি কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে।’

ফখরুল বলেন, ‘একেকটি সংগঠনের গঠনতন্ত্র আছে। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র সম্পর্কে যতটুকু জানি তাদের সংগঠনের নেত্রী হলেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী। তিনি সাংগঠনিক অভিভাবক। সুতরাং এখানে বহিষ্কারের কী বিধান আছে সেটা আমার জানা নেই। তবে সাংগঠনিক নেত্রী হিসেবে তিনি ব্যবস্থা নিতে পারেন। পদত্যাগ করতে বলেছেন, তারা পদত্যাগ করেছেন এখানে জটিলতার কিছু নেই।’

ছাত্রদলের কাউন্সিল বন্ধের বিষয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আইন দিয়ে রাজনীতি হয় না। আমি আগেও বলেছি, রাজনীতিকে যে আদালত দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হয় সেখানেই আমাদের আপত্তি। এটা একটা নজিরবিহীন ঘটনা যে একটা রাজনৈতিক দলের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে আদালত। আবার সেটা সরকারই করাচ্ছে। সরকারের উদ্যোগেই হচ্ছে। এতে প্রমাণ করে যে, এই সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, বিরোধীদলেও বিশ্বাস করে না।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গণতন্ত্রের মূল মন্ত্রই হচ্ছে জনগণ আর দেশের জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধিত্ব যা একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে থাকে। যার মাধ্যমে দেশে একটা প্রতিনিধিত্বশীল সরকার গঠিত হয়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে বাংলাদেশে আজ দুটিই অনুপস্থিত।

আশির দশক থেকে শুরু করে গণতন্ত্রের অতন্দ্র প্রহরী দেশনেত্রী খালেদা জিয়া যিনি বারবার গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন তিনি আজ মিথ্যা মামলায় কারাবন্দি। বিশ্ব গণতন্ত্র দিবসে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এর চেয়ে বড় প্রহসন আর কী হতে পারে। ২০০৭ সালে যে বছর গণতন্ত্র দিবস পালন শুরু হয় সেই বছরই এক এগারোর সেনাসমর্থিত সরকার আসে। সেদিন থেকেই বাংলাদেশে গণতন্ত্রহীনতা শুরু হয়।’

স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘দেশে দুই ধরনের আইন চলছে। একটা সরকারি দলের জন্য। আরেকটা বিরোধীদের জন্য। যেমন আমরা দেখেছি, এক-এগারোতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ২১টি মামলা ছিল। একটি মামলাও এখন নাই। একই ধরনের মামলা যেসব বিএনপি নেতাদের নামে ছিল, এখনো সেগুলোর ট্রায়াল চলছে। দেশে যদি একটা আইন থাকতো, তাহলে আজকে প্রধানমন্ত্রীও ট্রায়াল ফেস করতেন।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ।

বার্তাবাজার/এম.কে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর