রশীদকে কুপিয়ে বাসের নিচে ফেলে দেয়া সেই ঘাতক আটক

বড় ভাইয়ের কাছে ৫০০ টাকা চাঁদা দাবি করে না পেয়ে ছোট ভাই স্কুলছাত্র আব্দুর রশীদকে (১১) কুপিয়ে আহত করার পর চলন্ত বাসের নিচে ফেলে হত্যা করে ঘাতক।মামলা হওয়ার পর থেকে লাপাত্তা সেই খুনি।অবশেষে প্রধান আসামি মোজাফফর হোসেনসহ (২২) দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১৩।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) ভোরে রংপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল সংলগ্ন রংপুর-বদরগঞ্জ সড়ক থেকে মোজাফফরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তুল ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে র‍্যাব।

গ্রেপ্তার মোজাফফর নগরীর কেরানীপাড়া এলাকার কামাল হোসেনের ছেলে।

এছাড়া র‍্যাবের অপর একটি দল নগরীর সাহেবগঞ্জ মাছহাড়ি এলাকা থেকে নিশাদ আহমেদ জয় (২১) নামে আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার নিশাদ কেরানীপাড়া এলাকার জুয়েল আহমেদের ছেলে এবং মামলার তিন নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।

আজ বেলা সাড়ে ১১টায় র‍্যাব-১৩ এর সদর দফতরে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান র‍্যাব-১৩ অধিনায়ক রেজা আহমেদ ফেরদৌস।

তিনি জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরে গত ২৯ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর টেক্সটাইল মোড় এলাকায় স্কুলছাত্র রশীদকে নৃশংসভাবে হত্যা করে মোজাফফর ও তার সহযোগিরা। এ ঘটনায় ৩০ আগস্ট তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২/৩ জনকে আসামি করে নিহত রশীদের বাবা শহিদার রহমান বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।

র‍্যাব কর্মকর্তা রেজা আহমেদ ফেরদৌস বলেন, ৩১ আগস্ট এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আলামিন সরদার বাবু (২৫) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-১৩ এর সিপিএসসি ক্যাম্পের একটি দল। পরে মঙ্গলবার ভোরে পৃথক দুটি অভিযান চালিয়ে মোজাফফর ও নিশাদকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রসঙ্গত, ঘটনার কয়েকদিন আগে রশীদের বড় ভাই মোহনের (৩০) কাছে ৫০০ টাকা দাবি করে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী মোজাফফর হোসেন। তিনি টাকা না দেয়ায় তাকে মারধর করে সন্ত্রাসী মোজাফফর। এ ঘটনার বিচার দাবি করে মোজাফফরের বাবা কামালের কাছে অভিযোগ করেন মোহন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের দেখে নেয়ার হুমকি দেয় মোজাফফর।

এরই জেরে ২৯ আগস্ট রাতে টেক্সটাইল মোড় থেকে বাড়ি ফেরার পথে মোজাফফর ও তার সহযোগিরা রশীদকে আটক করে লাঠি দিয়ে পেটায় ও ছুরি দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। একপর্যায়ে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে রশীদকে চলন্ত একটি গাড়ির নিচে ফেলে দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় রশীদ। এ ঘটনায় ১ সেপ্টেম্বর ভোরে পঞ্চগড়ের সুগার মিল এলাকা থেকে এজাহার নামীয় দুই নম্বর আসামি মন্টি হোসেনকে (১৯) গ্রেপ্তার করে নগরীর কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

বার্তাবাজার/এএস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর