দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রীর দেরি, চলে গেলেন সুইডেনের রাষ্ট্রদূত শার্লোটা সিল্টার

রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) একটি অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা ছিল। ভূমিকম্প প্রস্তুতি কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চারটি পৃথক সমঝোতা স্মারক সইয়ের এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে যথাসময়ে উপস্থিত হন আমন্ত্রিত অতিথিরা।তবে ১১টার জায়গায় ১টা বাজলেও আসতে পারেননি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।তাই অনুষ্ঠান থেকে চলে যান সুইডিশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত শার্লোটা সিল্টার।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত রবার্ট ক্যাথারটন ডিকসন, সুইডিশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত শার্লোটা সিল্টার, ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী। কিন্তু অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান ও মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ্ কামাল যথাসময়ে উপস্থিত হননি।


দুপুর ১টার দিকে চলে যাওয়ার কথা বলছেন সুইডেনের রাষ্ট্রদূত

১১টার অনুষ্ঠান যখন দুপুর ১টাতেও শুরু হচ্ছিল না, তখন আয়োজকদের একজনকে সুইডিশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত শার্লোটা সিল্টার জানান, তিনি দুপুর দেড়টার পর আর থাকতে পারবেন না।

তাদের এই কথোপকথনের মাঝে আয়োজকদের আরেকজন এসে জানান, প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান দুপুর ১২টার দিকে সাভার থেকে রওনা দিয়েছেন। তিনি দেড়টার আগে কিছুতেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারবেন না।

প্রধান অতিথি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমানের উপস্থিতি ছাড়া অনুষ্ঠান শুরুর সুযোগ না থাকায় আয়োজকদের পক্ষ থেকে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত শার্লোটা সিল্টারকে বক্তব্য দিতে বলা হয়। দুপুর ১টা ১৮ মিনিটের দিকে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত বক্তব্য দিতে শুরু করেন। শুরুতেই তিনি বলেন, ‘অনুষ্ঠান দেরিতে শুরু হওয়ায় আমার আগে বক্তব্য দেয়ার সুযোগ হলো।’ বক্তব্য শেষে বিদায় নেন সুইডেনের রাষ্ট্রদূত।

গল্প করে সময় কাটাচ্ছেন আগতরা

অনুষ্ঠান শুরু হতে দেরি হওয়ায় আগত অন্য অতিথিরা বিরক্তি প্রকাশ করেন। অলস সময় কাটাতে গণমাধ্যমকর্মীসহ আগত অতিথিদের কেউ কেউ বসার জায়গাতেই ঘুমোতে শুরু করেন। আগত বিদেশি অতিথিদেরও একজন মাথায় হাত দিয়ে ঝিমুতে থাকেন।

অপেক্ষায় থাকতে থাকতে ঘুমিয়েও যান অনেকে

বিরক্তি প্রকাশ করে আয়োজকদের একজন বলেন, ‘আমরা আসলে বুঝতে পারছি না মন্ত্রী মহোদয় কখন আসবেন। এদিকে অনুষ্ঠানে আমরা রাষ্ট্রদূতদের দাওয়াত দিয়েছি। অনুষ্ঠান শুরু করতে না পারাতে আমরাই তাদের কাছে ছোট হয়ে গেলাম।’

সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা ছিল রংপুর সিটি করপোরেশন, টাঙ্গাইল পৌরসভা, রাঙ্গামাটি পৌরসভা এবং সুনামগঞ্জ পৌরসভার সঙ্গে। এতে সভাপতিত্ব করার কথা ছিল দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ্ কামালের।

ঘটনাস্থলে অবস্থান করে দেখা যায়, ৩ ঘণ্টা দেরি করে দুপুর ২টায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমানে উপস্থিত হন। তখন অনুষ্ঠান শুরু হয়।

বার্তাবাজার/এএস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর