চিকিৎসা সেবা বন্ধ রেখে মানববন্ধনে জাবির চিকিৎসকরা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা সেবা বন্ধ রেখে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রের চিকিৎসকরা।

সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশে ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, মাননীয় উপাচার্য ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে’ মানববন্ধন করেন বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ।

আর এই মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত প্রধান অফিসার ডাঃ শামসুর রহমানসহ ডাঃ মাসুদুর রহমান, ডাঃ বীরেন্দ্র কুমার বিশ্বাস, ডাঃ সানজিদা মৌরিন, ডাঃ শ্যামল কুমার শীল ও অন্যান্য স্টাফরা অংশগ্রহণ করেন।

চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে চিকিৎসকদের মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করায় দায়িত্বের প্রতি অবহেলার অভিযোগ তোলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। কর্তব্যরত চিকিৎসকদের এমন কর্মকান্ডে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সমালোচনা এবং নিন্দার ঝড় চলছে।

কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী শেখ রাসেল (৪৪তম আবর্তন) বলেন, ক্যাম্পাসে আন্দোলন হবে, মানববন্ধন হবে ঠিক আছে।

মেডিকেলের ডাক্টারদেরকেও সেখানে যেতে হবে? অনেক রোগী এসে বসে আছে মেডিকেলে ডাক্টারের খোঁজ নাই। জিজ্ঞাসা করে জানতে পারলাম ডাক্টাররা মানববন্ধনে গেছেন। এটা আসলে কতটা যুক্তিযুক্ত ঠিক বুঝলাম নাহ ?

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন হতেই পারে। কিন্তু তাই বলে চিকিৎসার মতো জরুরী একটি সেবা বন্ধ রেখে ডাক্তারদের মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করতে হবে কেন? যদি আজকে গুরুতর অসুস্থ কোন শিক্ষার্থীর কিছু হয়ে যেত তখন এর দায়ভার কে নিত?’

এ বিষয়ে ডাঃ বীরেন্দ্র কুমার বিশ্বাস বলেন, আমরা দায়িত্ব রেখে যাই নি। দায়িত্বরত অবস্থায় গেছি। আমাদের নামে যে অভিযোগ উঠেছে তা ভিত্তিহীন। প্রশাসনের কাজে যাওয়া আমাদের কর্তব্য।

ভারপ্রাপ্ত মেডিকেল অফিসার ডাঃ মো. শামছুর রহমান বলেন, একটা বিষয় স্পষ্ট করা উচিত, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের মানববন্ধনে যেতে বলে নি। বলেছে অফিসার্স সমিতি।

আমি মেডেকিলের দায়িত্বরত সকলকে স্ট্র্যাকলি বলেছিলাম, দায়িত্ব রেখে কেউ যেতে পারবে না। তারপরও যদি কেউ যায়, সেই দায়ভার তাঁর একান্ত ব্যক্তিগত।

উল্লেখ্য, শুধু চিকিৎসা কেন্দ্রই নয় মানববন্ধনের সময় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিস, ডেপুটি রেজিস্ট্রার অফিস, শিক্ষা শাখা, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস, উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তি শাখাসহ বিভিন্ন হলের অফিসসমূহের ডেস্কগুলো ফাঁকা পড়ে আছে। নেই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

বার্তাবাজার/এম.কে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর