নবজাতকের বাবা কে, প্রেমিক নাকি দুলাভাই, এলাকায় তোলপাড়

বরগুনার বেতাগী উপজেলার দক্ষিণ হোসনাবাদ গ্রামের এক কিশোরীকে প্রেম ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের ফলে ‘সর্বনাশ’ হয় প্রেমিকার।অবশেষে সন্তানও প্রসব করে সেই কিশোরী।মেয়ের পক্ষ থেকে প্রেমিকাকে দায়ি করা হলেও ছেলের পক্ষ থেকে অভিযোগের তির মেয়ের দুলা ভাইয়ের দিকে।

প্রেমিকের নাম মো: আক্কাস ব্যাপারী ।তিনি বরগুনার বেতাগী উপজেলার দক্ষিণ হোসনাবাদ গ্রামের কালাম বেপারীর ছোট ছেলে।অন্যদিকে মেয়েও একই এলাকার।

অবৈধ ওই কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের সদস্যরা তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। এরপর চিকিৎসকেরা জানায় ওই কিশোরী চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তাৎক্ষনিক ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে মেয়ের পরিবার আক্কাসকে বিয়ে করার জন্য বলে।তাতে সাড়া দেয়নি আক্কাসের পরিবার।

এমনকি সমাজের প্রভাবশালী মহল থেকে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসার জন্যও নির্যাতিত ওই কিশোরীর পরিবারেও প্রস্তাব আসে। তবে ওই কিশোরীরর পরিবার এতে অসম্মতি জানিয়ে ন্যায় বিচারের জন্য বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে মামলা করে।

মামলার খবর পেয়ে আক্কাস ওই কিশোরীকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে এলাকা থেকে পালিয়ে যান। এমন পরিস্থিতিতে গত বুধবার (২৮ আগস্ট) রাতে নির্যাতিত ওই কিশোরী একটি ছেলে সন্তানের মা হয়।

জন্ম নেয়ার চারদিন পার হয়ে গেলেও এখনো নাম রাখা হয়নি নবজাতকটির। এদিকে ওই নবজাতকের বাবা কে তা নিয়ে এলাকায় চলছে টানাহেঁচড়া।

এ বিষয়ে নির্যাতিত ওই কিশোরী গণমাধ্যমকে জানায়, আমি যে আমার পোলার একটা নাম রাখবো সেই সৌভাগ্যও আমার হয়নি। যেদিন আমি প্রসব বেদনায় ছটফট করেছিলাম সেদিনও আমাকে মারার জন্য আমার ঘরের দরজা কুপিয়ে গেছে আক্কাসের বাবা কালাম বেপারী। একটি প্রভাবশালী মহলের দাপটে তারা আমাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে চলছে।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে ওই কিশোরী আরও জানায়, স্বামীর মর্যাদা না পেয়েও সন্তানের মা হয়েছি। আমার সন্তানের পরিচয় চাই।

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আক্কাসের বাবা কালাম বলেন, আমার সম্মানহানি করার জন্য এলাকার একটি কুচক্রী মহল এসব কথা রটিয়েছে। তাদের মিথ্যা মামলার কারণে আমার ছেলে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

নবজাতকটির বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ওই নবজাতকের বাবা আমার ছেলে না। বেশ কিছুদিন ওই মেয়ে তার বোনের বাড়িতে ছিলো এবং তার বোন জামাইর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক ছিলো তার। হতে পারে সন্তানটি তার বোন জামাইয়ের।

এ ব্যাপারে হোসনাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান খান বলেন, এ ঘটনার পর থেকেই আক্কাস বেপারীকে ওই মেয়েটিকে বিয়ে করার জন্য বলেছি। কিন্তু মামলা প্রক্রিয়াধীন থাকার কারণে কোনো ধরনের মীমাংসা করা সম্ভব হয়নি।

বার্তবাজার/এএস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর