সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের গোয়ালচাতর বাজারের প্রায় ১শ’৫০ বছরের পুরানো বটগাছটি আজো ইতিহাসের সাক্ষি হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। লাঙ্গলঝাড়া ও কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের সংযোগস্থলের চৌরাস্তা মোড়ে গাছটি অবস্থান।
বটগাছের গোড়ায় রীতিমতো টাইলস বসিয়ে বসার স্থান করা হয়েছে। স্থানটি যেনো পথচারী ও স্থানীয়দের বিশ্রামগারে রূপ নিয়েছে। সেখানে বিশ্রামে প্রশান্তি পান তারা।
ওই গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি আব্দুর রশিদ সরদার জানান, ‘ছোট বেলায় আমরা এই গাছের “ব” (গাছ থেকে যে ঝুল নামে) ধরে ঝুল খেতাম। বটগাছটির নিচে কত খেলা করেছি।
একই গ্রামের মহিদুল ইসলাম (৭০), নুরুল ইসলাম (৬৫) সহ আরো কয়েকজন জানান, ‘খানের আমলে গাছটি বিশালাকার ছিল। খানেরা এসে এখানে বিশ্রাম নিতো। আমরা গ্রামের ছেলেরা এখানে খেলতাম। অনেক দিনের গাছ এটি।
গোলাম রহমান নামের এক ব্যক্তি জানালেন, ‘আসল গাছটি এখন আর ইেন। আসল গাছের শিকড় চারপাশে বিস্তার করেছে। তাছাড়া “ব” ছেঁটে দেয়া হয়। তা না হলে এখানে জায়গা হতো না। স্থানীয়রা জানান- বিকালে অনেকে এ গাছটির নিচে বসেন।
তাঁদের কথা মাথায় নিয়ে প্রয়াত এক অধ্যাপক গাছটির গোড়ায় বসার জন্য টাইটলস দিয়ে সুন্দর জায়গা করে দিয়েছিলেন। লোকজন অবসর সময় কাটানোর জন্য বেছে নেন এই পুরনো গাছটির নিচের বসার স্থানটি।
মনে পড়ে ছোট বেলার সেই রঙিন দিন গুলির কথা এমনই অভিমত গাছটির নিচে বসে থাকা প্রবীণ এই ব্যক্তিদের।
বার্তাবাজার/এম.কে