মাত্র আড়াই মিনিটে ১৯৯টি দেশ ও রাজধানীর নাম বলতে পারেন পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার তীরনইহাট ইউনিয়নের গোয়াবাড়ি গ্রামের জুবায়ের হোসাইন। তার ইচ্ছা বিশ্বের সকল প্রকার রেকর্ড সংরক্ষণ করার আন্তর্জাতিক ও অত্যন্ত জনপ্রিয় ‘গিনেস বুকে’ নাম ওঠানো।
জুবায়েরের বাবা হাসান আলী ট্রাক ড্রাইভার, মা জোসনা বেগম একজন গৃহিনী। তারাও আশায় বুক বেঁধে আছেন ছেলে তাদের গিনেস বুকে নাম ওঠাবে। তারা জানালেন, জুবায়ের মাত্র আড়াই মিনিটেই ১৯৯টি দেশ ও রাজধানীর নাম বলতে পারে।
ছেলের অদম্য ইচ্ছা তাকে এই পর্যন্ত নিয়ে এসেছে। তাদের দাবি, এত কম সময়ে আর কেউ এসকল দেশ ও রাজধানীর নাম বলতে পারবে না। তেঁতুলিয়া সরকারি কলেজের দ্বাদশ বর্ষের শিক্ষার্থী জুবায়ের। স্কুল জীবনেও নানা কীর্তি আছে তার।
কলেজে ভর্তি হয়েই প্রাইভেট পড়তে শুরু করেন ইংরেজি শিক্ষক রেজাউল ইসলামের কাছে। তিনি জুবায়েরকে আন্তর্জাতিক জ্ঞান অর্জনের জন্য দেশ ও রাজধানীর নাম মনে রাখতে বলতেন।
জুবায়ের বলেন, ‘রেজাউল স্যারের কথামতো বিভিন্ন দেশ ও রাজধানীর নাম পড়তে শুরু করি। প্রতিদিন ২০ টি দেশ ও রাজধানীর নাম মনে রাখতাম। প্রতিদিন নিজে নিজে বলতাম। এভাবে দীর্ঘ আট মাসের চর্চায় ১৯৯টি দেশ ও রাজধানীর নাম বলতে পারি।’
জুবায়ের আরও বলেন, ‘স্থানীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও রাজধানীর নাম বলা শুরু করি। আগে অনেক বেশি সময় লাগতো, এখন আমি আড়াই মিনিটেরও কম সময়ে তা বলতে পারি। আমার এই নাম বলার বিষয়টি নিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়ার স্পৃহা তৈরী হয়।’
তিনি জানান, বিশ্বসেরা হতে আরও কম সময়ে দেশগুলো ও রাজধানীর নাম বলতে পারার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে তার। তার দাবি, এই যোগ্যতা তাকে গিনেস বুকে নাম ওঠানোতে কাজ করবে।
তিনি বাংলাদেশ ও রাজধানী ঢাকা দিয়ে শুরু করে ক্যারিবীয় দ্বিপুঞ্জের রাষ্ট্র সেন্ট লুসিয়া এবং রাজধানী কাস্ট্রির নাম বলে শেষ করতে পারেন। এর মধ্যে অন্যান্য ১৯৭ দেশ ও রাজধানীর নাম রয়েছে।
তেঁতুলিয়া উপজেলার তীরনইহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ১১৯টি দেশ ও রাজধানীর নাম মনে রাখা আসলেই কঠিন একটি কাজ।
জুবায়ের সুন্দর এবং সাবলীল কণ্ঠে এসব দেশের নাম ও রাজধানীর নাম বলতে পারে। বাংলাদেশ দিয়ে তার নাম বলা শুরু হয়। তার এই অসাধারণ প্রতিভার যোগ্য মূল্য দেওয়া উচিৎ।
বার্তাবাজার/কেএ