ডেঙ্গু রোগ ‘নিয়ন্ত্রণে’ মন্ত্রী তাজুল ইসলামকে পুরস্কৃত

প্রাণঘাতী ডেঙ্গু নিয়ে দেশজুড়ে উদ্বেগের মধ্যেই মশাবাহিত এই ‘রোগ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকার’ জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলামের হাতে সম্মাননা তুলে দিল একটি সংগঠন।

শুক্রবার এফডিসিতে ‘শুধু সরকারি প্রচেষ্টা নয়, জনসচেতনতাই পারে ডেঙ্গু প্রতিরোধ’ শীর্ষক ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতা শেষে আয়োজক প্রতিষ্ঠান ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ মন্ত্রীর হাতে এ সম্মাননা তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় বাংলাদেশের সফলতার চিত্র তুলে ধরে এলজিআরডিমন্ত্রী। মন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অন্যান্য উন্নত দেশের তুলনায় বাংলাদেশের ডেঙ্গু মোকাবিলার সক্ষমতা বেশি।

তিনি বলেন, ‘ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের একজন প্রতিনিধি আমাকে বলেছেন, ডেঙ্গু রোগ মোকাবিলার সক্ষমতায় উন্নত দেশের তুলনায় বাংলাদেশ এগিয়ে আছে।’ এর কারণ হিসেবে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে উল্লেখ করেছেন তিনি।

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এবারের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতে এই সংকটের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে পারবে সরকার।’ তিনি বলেন, ‘অভিজ্ঞতার অভাব ছিলই এ কথা অস্বীকার করা যায় না।’

মন্ত্রী বলেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রনে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে চলেছে।’ পুরোপুরি সফল না হলেও সচেতনতা সৃষ্টি করতে সরকার সফল হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়।’ সর্বসাধারণের সচেতনতার মাধ্যমে এই সংকট মোকাবিলা করার আহবান জানান তিনি।

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, ‘ডেঙ্গু মোকাবিলায় তিনি (মন্ত্রী) সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছেন। মেয়র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে নিয়ে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই। কিন্তু এলজিআরডি মন্ত্রী ডেঙ্গু মোকাবেলায় সর্বাত্মক চেষ্টা ও প্রশাসনিকভাবে সহযোগিতা করেছেন।’

উল্লেখ্য, মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগ বাংলাদেশে প্রথম দেখা দেয় ২০০০ সালে। এর পর থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত যেখানে ৫০ হাজার ১৪৮ জন মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হন, সেখানে এ বছর এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা এরইমধ্যে ৬১ হাজার ছাড়িয়েছে।

বার্তাবাজার/কে.জে.পি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর