জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি নিকেতন এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশে গাছ কাটা শুরু করেছে টেন্ডারপ্রাপ্ত কোম্পানি। নতুন হল নির্মাণের উদ্দেশ্যে অপরিকল্পিত এ উন্নয়ন কাজের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি নিকেতন থেকে কাফনের কাপড় পরানো গাছ নিয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়ক সমূহ প্রদিক্ষণ করে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের বাসভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
মিছিল শেষে প্রতিবাদ সভায় ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য রাকিবুল রনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বারবার মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন। আমাদের দাবির মুখে তিনি বলেছিলেন যে তিনি দাবি পর্যালোচনা করে দেখবেন। কিন্তু আমাদের দাবি পর্যালোচনা না করে উন্নয়ন কাজ শুরু করেছেন। উন্নয়ন কাজ নিয়ে ভাগবাটোয়ারার রাজ্য খুল বসেছেন উপাচার্য, আমরা দেখেছি কিভাবে তিনি সাধারণ মানুষের টাকা ভাগবাটোয়ারা করে ছাত্রলীগকে দিচ্ছেন। এই অপরিকল্পিত উন্নয়ন
কাজের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম চলবে।’
জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি আশিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা পত্রিকার সংবাদে জেনেছি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি মহলকে উন্নয়ন প্রকল্প থেকে দুই কোটি টাকা দিয়েছে। টাকা ভাগাভাগি করে উন্নয়নের নামে প্রহসন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মেনে নেবে না। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাননীয় উপাচার্য আশ্বাস দিলেও গাছ কাঁটা বন্ধ হয়নি।’
উল্লেখ্য, এর আগে উন্নয়ন কাজের শুরু থেকে কাজকে ‘অপরিকল্পিত’ অ্যাখ্যা দিয়ে তা বন্ধের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তবে তাদের আন্দোলনকে উপেক্ষা করে কাজ চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গত ২২ জুলাই মেয়েদের হল নির্মাণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের টারজান পয়েন্টে কাজ শুরু করে সংশ্লিষ্ঠ কোম্পানি। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের বাধায় তা বন্ধ হয়। এরপর উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম আন্দোলনকারীদের দাবিকে বিবেচনা করে দেখবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন।
কিন্তু শিক্ষার্থীদের দাবিকে উপেক্ষা করে আজ সকালে আবারো হল নির্মাণের লক্ষ্যে গাছ কাটা শুরু করে টেন্ডার পাওয়া কোম্পানী। পরবর্তীতে সেখানে জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীরা গাছ কাটা বন্ধ করেন এবং বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের ঘোষণা দেন তারা।
বার্তাবাজার/এস.আর