পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌরসভা ও টিয়াখালী ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে বাদুরতলী খালটি দখল করে বাড়ি-ঘরসহ বিভিন্ন স্থাপনা তোলা হয়েছে।
দুইপাড়ে দুই/তিন শত পরিবার পানি নিষ্কাশনসহ নিত্যদিনের ব্যবহারের পানি নিয়ে খুব দুরচিন্তায় আছে ওই পরিবার গুলো। আন্ধারমানিক নদীর সঙ্গে ওই খালটির সংযোগ রয়েছে। স্থানীয় একটি মহল কাগজপত্রে বদ্ধখাল দেখিয়ে মাঝখানে সরকারি কালভার্ট বন্ধ করে দিয়েছে। সেখানে মাছ ধরার জন্য নিজেদের সুবিধামতো ছোট একটি কালভার্ট করেছে। আর মূল কালভার্টের নিচে মাটি দিয়ে ভরাট করে রাখা হয়েছে।
তিন থেকে চার কিলোমিটার দীর্ঘ খালটিতে জনগণের মাছ শিকারের কোন সুযোগ নেই। টিয়াখালীর এক মেম্বার এটির নিয়ন্ত্রণ করছে। তাঁরা জেলা প্রশাসন থেকে বদ্ধখাল দেখিয়ে লিজ নেয়ার কথা বলেছেন। এছাড়া খালটির বাদুরতলী থেকে দুই পাড়ে দখল করে খালের পরিধি ছোট আকার করে ফেলছে। খালের ভরাট অংশ দখল করে তোলা হয়েছে আনেক বাড়ি ঘর । স্থানীয়রা দাবি করছে খালের সীমানা নির্ধারণ করে উচ্ছেদ অভিযান করা হোক। জনস্বার্থে ব্যবহৃত গুরুত্বপুর্ণ খালটি দখল কারনে হারিয়ে যাবে কিছু দিনের মধ্যে। খালটির বড় সিকদার বাড়ি পয়েন্টে অপরিকল্পিতভাবে করা কালভার্টটির নিচের ভরাট মাটি অপসারণ করা জরুরি প্রয়োজন। সেখানে খালে পাকা গাইডওয়াল করে দখল করা হয়েছে। খালের মধ্যে টয়লেটসহ স্থাপনা করা হয়েছে।
কলাপাড়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) অনুপ দাশ জানান, খালের দখলদারমুক্ত করার অভিযান চলমান রয়েছে।
বার্তাবাজার/এস.আর