সেচ্ছায় মিয়ানমার ফিরতে রাজি নয় রোহিঙ্গারা

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হলেও শেষ মুহূর্তে কোনো রোহিঙ্গা মিয়ানমারে ফিরে যেতে রাজি হয়নি বলে জানিয়েছেন ত্রাণ, দুর্যোগ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম।

বৃহস্পতিবার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রথম দিনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন: রোহিঙ্গারা ফিরে যেতে না চাইলেও সাক্ষাতকার নেয়া চলমান থাকবে।

প্রত্যাবাসনের জন্য চূড়ান্ত করা সাড়ে ৩ হাজার রোহিঙ্গাকে টেকনাফের শালবাগান ক্যাম্পে রাখা হলেও ক্যাম্পের ঠিক কোন জায়গায় রাখা হয়েছে সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি গণমাধ্যমকর্মীদের।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাইরে সকাল থেকেই প্রস্তুত রয়েছে ৫টি বাস। তবে এখন পর্যন্ত সেখানে কাউকে উঠতে দেখা যায়নি। চীনা রাষ্ট্র দূতাবাস থেকে তিনজন কর্মকর্তা সেখানে গেলেও তারা চূড়ান্ত করে বলছেন না আসলেই আজই রোহিঙ্গারা ফিরছেন কিনা।

প্রথম দফায় কক্সবাজারের ঘুনধুম সীমান্ত দিয়ে নির্দিষ্ট সংখ্যক রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যাবার কথা রয়েছে। ঘুনধুম থেকে ট্রলারে নাফ নদী পার হয়ে রোহিঙ্গারা মিয়ানমার ফিরে যাবে।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনকে ঘিরে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

এর আগে প্রত্যাবাসনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে প্রত্যাবাসনের তালিকায় থাকা রোহিঙ্গাদের সাক্ষাতকার নেয়া শেষ হয় বুধবার। দু’দিন ধরে এ সাক্ষাতকার নেয়া হয়। কক্সবাজারের টেকনাফের শালবাগান রোহিঙ্গা শিবিরে মঙ্গলবার ও বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত এ সাক্ষাতকার গ্রহণ করা হয়।

ইউএনএইচসিআর এবং শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের প্রতিনিধিরা ক্যাম্পে ক্যাম্পে গিয়ে এসব রোহিঙ্গাদের সাক্ষাতকার নেন। ক্যাম্প ইনচার্জের অফিসের পাশে বেশ কয়েকটি প্লাস্টিকের ঘর তৈরি করে, যেখানে ৮টি বুথ করে পর্যায়ক্রমে ৩ হাজার ৫৪০ জনের সাক্ষাতকার নেয়া হয়।

ক্যাম্পে বসবাসরত রোহিঙ্গারা সাক্ষাতকারে বলেছেন, তাদের নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দেয়াসহ অন্যান্য দাবিদাওয়া মেনে নিলেই কেবল ফিরে যাবেন তারা।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর