যে কারণে মাশরাফি-সাকিবদের কোচ হলেন ডমিঙ্গো

ক্রিকেটের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের প্রবল আবেগ ও ভালোবাসা রাসেল ডমিঙ্গোকে ভীষণ আকৃষ্ট করেছে। এতটাই যে, সেকেন্ডের ব্যবধানে এ দেশকে নিজের বাড়ি হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করেছেন।

কয়েক দিন আগে জাতীয় দলের প্রধান কোচ হিসেবে ডমিঙ্গোর নাম ঘোষণা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ওই সময় সংস্থার সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, টাইগারদের দেখভাল করার জন্য দারুণ আগ্রহ দেখিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকানরা। কার্যত এটিই কোচ পদে নিয়োগ পেতে অন্যদের চেয়ে তাদের এগিয়ে রেখেছে।

অবশ্য পাপনের বক্তব্য নিয়ে কারও সন্দেহ থাকতে পারে। তবে বাংলাদেশি গণমাধ্যমের সঙ্গে ডমিঙ্গোর প্রথম সংবাদ সম্মেলনের পর সেটি থাকবে না। সাবেক প্রোটিয়া কোচ বলেন, আমি ক্রিকেটের প্রতি এ দেশের জনগণের প্রবল আবেগ দেখেছি। মূলত তা-ই আমাকে এখানে আসতে উদ্বুদ্ধ করেছে।

বাঙালি কতটা ক্রিকেটপাগল জাতি ডমিঙ্গো এর প্রমাণ পান ২০০৪ সালে প্রথমবার বাংলাদেশ সফরে। এর পর আরও ছয়বার এ দেশ সফর করেন। প্রতিবারই ক্রিকেটের প্রতি এখানকার জনগণের আবেগের প্রমাণ পান।

ডমিঙ্গোর মতে, বিশ্বের কোথাও ক্রিকেট নিয়ে এমন উন্মাদনা দেখেননি। এমনকি দক্ষিণ আফ্রিকাতেও না। সে দেশে এমনটি কল্পনার বাইরে। ডমিঙ্গো বলেন, এ নিয়ে সপ্তমবার আমি বাংলাদেশে এলাম। প্রথমবার এসেছিলাম ২০০৪ সালে অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে, আজ থেকে প্রায় ১৫ বছর আগে।

তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের জনগণ ক্রিকেট অনেক ভালোবাসে। এখানে সফরে এসে প্রতিবারই আমি একই চিত্র দেখেছি। দক্ষিণ আফ্রিকায় দেখা যায়, এক সংবাদ সম্মেলনে বড়জোর আট থেকে ৯ জন সাংবাদিক উপস্থিত থাকেন। আমার জীবনে একটা সংবাদ সম্মেলনে আমি কখনও এত সাংবাদিক দেখিনি। আমি বিমানবন্দরে নেমে এত বেশি সাংবাদিক দেখেছি, যা সত্যিই অবিশ্বাস্য।

তিনি বলেন, ক্রিকেটের প্রতি লাল-সবুজ দেশের মানুষের এ আবেগ আমি সবসময় লক্ষ্য করেছি। মাঠে বাঘের পোশাক পরা দর্শকের উপস্থিতি সবসময় দলের সমর্থনের জন্য বড় ফ্যাক্টর। সম্ভবত এটিই আমাকে এখানে আসতে অনুপ্রাণিত করেছে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর