গ্রেনেড হামলা দিবসে ইবিতে প্রতিবাদ র‌্যালি ও আলোচনা সভা

২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস উপলক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) প্রতিবাদ র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দিবসটি পালন উপলক্ষে বুধবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে প্রতিবাদ র‌্যালির আয়োজন করা হয়।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারীর নেতৃত্বে র‌্যালিটি প্রশাসনিক ভবন থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এসে শেষ হয়।
র‍্যালিতে এসময় অনেকের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. শাহিনুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ ড. সেলিম তোহা।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এসএম আব্দুল লতিফ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন, শোকদিবস ও গ্রেনেড হামলা দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রেজওয়ানুল ইসলাম প্রমুখসহ বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষক,কর্মকর্তা ও সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ।

এরপর বেলা ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তন
জাতীয় শোকদিবস ও গ্রেনেড হামলা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অধ্যাপক ড. মোঃ রেজওয়ানুল ইসলামের সভাপতিত্বে উক্ত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ আসকারী।

ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মোস্তফা জামাল হ্যাপির সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. শাহিনুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ ড. সেলিম তোহা।

প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান, প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ড. আনিছুর রহমান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মন, ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম রবিউল ইসলাম পলাশ, সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিবসহ অসংখ্য নেতাকর্মী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপাচার্য ড. রশিদ আসকারী বলেন, ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর স্বপরিবারের হত্যাকান্ড আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় গভীর ষড়যন্ত্র। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা বুঝতে পেরেছিল যে, জীবিত মুজিবের চেয়ে মৃত মুজিব হয়ে উঠবেন অধিক শক্তিশালী। এজন্য ১৫ আগস্টে যাঁরা নিহত হয়েছেন তাঁদের সবাইকে ঢাকা বনানী কবর স্থানে সমাহিত করা হলেও জাতির পিতার লাশটি প্রান্তিক জনপদে তাঁর গ্রামে সমাহিত করা হয়েছিল। যাতে করে পৃথিবীর মানুষ আবেগ প্রকাশের সুযোগ না পায়। পাশাপাশি সানগ্লাস জেনারেল যিনি নিহত হন চিটাগংএ, তাকে জনগনের প্রশংসা কুড়ানোর জন্য ওখান থেকে তার দেহাবশেষ নিয়ে এসে রাজধানীতে স্থানান্তরিত করা হয়। তবে তাতে কোন লাভ হয়নি।একটি প্রান্তিক জনপদে লুকিয়ে দাফন করার পরেও সেই মুজিব আজ অতুলনীয় শক্তির উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছেন। জাতির পিতার রক্ত এবং রাজনীতির উত্তরাধিকারী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহবান জানিয়ে ড. রাশিদ আসকারী বলেন, জাতির পিতার দেহ সমাহিত হয়েছে টুঙ্গিপাড়ায় তাঁর প্রিয় গ্রামে। তাঁর স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য ঢাকাতে একটা বঙ্গবন্ধু স্কয়ার প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। যেটি বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে হবে এবং সেখানে তাঁর স্মৃতি সংরক্ষণ করে রাখা হবে। যাতে করে সারা পৃথিবীর মানুষ ঢাকাতে নেমে বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে এসে তাঁর পূর্ণ স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ পায়। আর এটির প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে এজন্যই যে, বঙ্গবন্ধু আজ বাংলাদেশ এবং বাঙালি জাতির সম্পদ নয়, বঙ্গবন্ধু এশিয়া, দক্ষিণ এশিয়াসহ সারা পৃথিবীর মুক্তিকামী মানুষের কাছে মহা-সম্পদে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট এবং ২১ আগস্ট একইসূত্রে গাঁথা। ষড়যন্ত্রকারীরা এখনো ষড়যন্ত্র করেই চলেছে। এজন্য স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিকে সব সময় এক এবং ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এ ষড়যন্ত্র মোকাবেলার জন্য।

এদিকে নাম ঘোষণার পরেও কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি শামসুল ইসলাম জোহা এবং সাধারণ সম্পাদক মীর মোরশেদুল আলম বক্তব্য প্রদান করেননি।জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভার মতো একটি গুরুত্বপূর্ন অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান না করায় উপস্থিত সকলের মাঝে বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে এবং অনেককে ক্ষোভ প্রকাশ করতেও দেখা গেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়।

বার্তাবাজার/এস.আর

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর