পরকীয়ার চরম মূল্য দিলেন চেয়ারম্যান

জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবিতে প্রেমিকার অনশনের মুখে পরকীয়ার খেসারত হিসেবে দেড় লাখ টাকা দিতে হয়েছে আওলাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাককে (৫২)।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামদিয়া গ্রামের সনি চৌধুরীর স্ত্রী ফারিয়া আখতার চুমকী (৩৮) কয়েক মাস আগে তার স্বামীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ নিয়ে পূর্ব পরিচিত আওলাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকের কাছে যান।

এক পর্যায়ে ওই চেয়ারম্যান তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। বিষয়টি জানাজানি হলে ওই নারীর স্বামী তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এরপর ওই নারী বিয়ের দাবি নিয়ে চেয়ারম্যান রাজ্জাকের কার্যলয়ে আসেন। এ সময় চেয়ারম্যান সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ও চেয়ারম্যানের শুভাকাঙ্ক্ষী ওই নারীকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণে সম্মত হয়। পরে তাকে নগদ ১ লাখ টাকা দিয়ে পাঠিয়ে দেন তারা।

ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, আমার স্বামী একটু বদমেজাজী। তাই স্বামীর পূর্ব পরিচিত রাজ্জাক চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ নিয়ে গেছিলাম। কিন্তু সে আমার দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে প্রেমের প্রস্তাব দেয়।

এরপর মোবাইলে কল করে নানা প্রলোভন দেয়। এক পর্যায়ে আমাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আজ যখন বিয়ের দাবিতে আসলাম, তখন ভয়ভীতি দেখিয়ে বিদায় করে দেয়। স্বামীও বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। আমি কি করবো?

অভিযুক্ত চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক পাঁচবিবি উপজেলার ছাতিনআলী গ্রামের মৃত ইউনুস মণ্ডলের ছেলে এবং আওলাই ইউনিয়ন বিএনপির এক নম্বর সদস্য।

বার্তাবাজার/এএস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর