নিরবে ঘমায় এলাকাবাসী।তবে জেগে আছে কাক।অর্থাৎ কাকা ঢাকা ভোর।আর কাকের সঙ্গে শব্দ ভেসে আসে এক নবজাতকের।এরপর ঘটল আরো রিদয় বিদারক কাণ্ড।
আর সেই নবজাতককে ঘিরে কৌতূহলী দৃষ্টিতে তার কান্নার শব্দ শুনছিল বেশ কয়েকটি কুকুর।এরইমধ্যে নবজাতককে নিয়ে টানাটানি শুর করে দেয় কুকুরগুলো।
এ দৃশ্য দেখার সঙ্গে সঙ্গে কুকুরদের তাড়িয়ে নবজাতককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান এক পুলিশ সদস্য।
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার ভোরে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ বাদামতলী মোড়ে।
শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে সেই পুলিশ সদস্যের নাম মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি ডবলমুরিং থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) বলে জানা গেছে।
ঘটনার বিবৃতি দিয়ে তিনি বলেন, রাতে ডিউটি পালনকালে দলের সহকর্মীদের সঙ্গে আক্তারুজ্জামান সেন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এ সময় রাস্তার উল্টো দিকে সোনালী ব্যাংকের সামনে দুটি কুকুর মারামারি করতে দেখি। তখন দেখে অন্য আরেকটি কুকুর দলের সঙ্গে ভিড়ে মুখে কিছু একটা নিয়ে টানাটানি করছে। হঠাৎ দেখি সে পুটলিতে একটি সদ্যজাত শিশুর হাত-পা দেখা যাচ্ছে।
তিনি যোগ করেন, ‘সঙ্গে সঙ্গে দৌড়ে গিয়ে কুকুরটির মুখ থেকে বাচ্চাটিকে ছিনিয়ে নিই। এসময় ওই রাস্তায় প্রাতঃভ্রমণে বের হওয়া এক নারীর কোলে কান্নারত বাচ্চাকে দিই। একটি টং দোকান থেকে কাপড় নিয়ে বাচ্চাটাকে মুড়িয়ে ওই নারীসহ আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে যাই। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা শিশুটিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
তিনি জানান, শিশুটিকে দ্রুত চট্রগ্রাম মেডিকেলে যাওয়ার পথে শিশুটিকে উদ্ধারের স্থান থেকে একটু দূরে এক নারীকে উদ্ধার করি। তাকেও হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে জানতে পারি ওই নারীই শিশুটির মা ও তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন।’
বর্তমানে মা ও শিশু উভয়ই ভালো আছে বলে জানিয়েছে চমেক সূত্র।
বার্তাবাজার/এএস