হাইকোর্টে ক্ষমা চেয়ে পার পেলেন এসপি

একটি অস্ত্র মামলার আসামি জীবিত না মৃত- এ বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে সরাসরি বিচারপতির নামে প্রতিবেদন পাঠানোর ঘটনায় নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে পার পেলেন ভোলার পুলিশ সুপার (এসপি) সরকার মো. কায়সার।

পুলিশ কর্মকর্তা আদালতকে লিখিতভাবে বলেছেন, ভবিষ্যতে আর এ ধরনের ভুল হবে না।

বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এসপির লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে তাকে অব্যাহতি দিয়ে আদেশ দেন। এ মামলায় পরবর্তী শুনানি ও আদেশের জন্য আগামী ১৫ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

রাজধানীর তেজগাঁও থানার অস্ত্র মামলার আসামি জুলহাস মিয়া বেঁচে আছেন কিনা সে বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে সারসরি বিচারপতির নামে প্রতিবেদন দাখিল করায় এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে তাকে তলব করা হয়েছিল।

গত ১৭ জুলাই হাইকোর্ট তাকে তলব করে। মঙ্গলবার নির্ধারিত দিনে এসপি কায়সার হাজির হয়ে তার আইনজীবী সুপ্রিমকোর্ট বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট এ এম আমিনউদ্দিন ও আইনজীবী আবদুল আলিম জুয়েলের মাধ্যমে আদালতে ব্যাখ্যা দাখিল করেন।

আদালতে অশীতিপর বৃদ্ধা রাবেয়া খাতুনের আইনজীবী ছিলেন আশরাফুল আলম নোবেল, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সারওয়ার কাজল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন মৃধা।

অবৈধ অস্ত্র ও গুলি নিজ হেফাজতে রাখার অপরাধে তেজগাঁও থানার এসআই আবদুর রাজ্জাক বাদী হয়ে অশীতিপর রাবেয়া খাতুনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ২০০২ সালের ২ জুন।

এরপর রাবেয়া খাতুন গ্রেফতার হন, ৬ মাস কারাগারে থেকে জামিনও পান। পরে তাকেসহ দুই আসামি জুলহাস ও মাসুদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে ২০০৩ সালের ২৪ মার্চ শুরু হয় মামলার বিচার।

কিন্তু গত ১৪ বছর আদালতে জুলহাসের কোনো উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। জুলহাস জীবিত না মৃত এ বিষয়ে কোনো প্রতিবেদন না থাকায় হাইকোর্ট ঢাকা মহানগর কমিশনার (ডিএমপি) ও ভোলার এসপিকে প্রতিবেন দাখিলের নির্দেশ দেন।

-যুগান্তর অনলাইন

বার্তাবাজার/এসআর

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর