নিয়মের তোয়াক্কা করেননা শিক্ষা প্রকৌশলের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহিন আহম্মেদ

প্রতিটি টেন্ডারের বিপরীত মোটা অংকের টাকার হিসেবে নিকেশ তো আছেই। তার উপর মোটা অংকের দাবী। সব মিলিয়ে আখের গোছাচ্ছেন লক্ষ্মীপুর শিক্ষা প্রকৌশলের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহিন আহম্মেদ। যিনি আগামী ২৯ আগষ্টে এলপিআরে যাবেন। তাই শেষ মূহুর্তে হরিলুটের মাধ্যমে কোটি টাকা নিয়ে পকেট ভারী করছেন। মাদরাসা কাজের জন্য ৮ লাখ করে, স্কুলের কাজের জন্য ৫ থেকে সাড়ে ৫ লাখ
এবং কলেজের কাজের জন্য ২০ লাখ টাকা করে নিয়ে মনগড়া ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দিচ্ছেন।

অভিযোগ রয়েছে অর্থের বিনিময়ে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে পছন্দের ঠিকাদারদের দিয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাজ করাচ্ছেন লক্ষ্মীপুর শিক্ষা প্রকৌশলের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহিন আহম্মেদ। ঠিকাদারদের সুবিধার্থে সরকার ইজিপি টেন্ডার সচেতনতার জন্য অর্থাৎ ইজিপি তিনশ মার্কের মেট্রিকস চালু করেছে। অথচ এভুলেশন যাচাই-বাছাই ছাড়াই এসব ফলো না করে অর্থের বিনিময়ে মনগড়া ও নিজের পছন্দনীয় ঠিকাদারদের কাজ দিচ্ছেন তিনি। কিন্তু যাচাই বাছাই করলে অনেক প্রতিষ্ঠান বাদ হয়ে যাবে।এবং প্রকৃতভাে মার্কস পয়েন্ট অনুযায়ী সঠিক ঠিকাদাররা কাজ পাবে।

“মাদরাসা কাজের জন্য ৮ লাখ
স্কুলের কাজের জন্য ৫ সাড়ে ৫ লাখ
এবং কলেজের কাজের জন্য ২০ লাখ টাকা”

এরমধ্যে ২১ টি মাদরাসার কাজ প্রসেসিংয়ে রয়েছে। যার মূল্য ৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা করে। প্রতিটি কাজের জন্য ঠিকাদারের কাজ থেকে ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত করে হাতিয়ে নিচ্ছে। এর আগে ২৭টি বিদ্যালয়ের কাজ। যার মূল্য ২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা করে। প্রতিটি কাজের জন্য ঠিকাদারের কাজ থেকে ৫ লাখ থেকে সাড়ে ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে নির্বাহী প্রকৌশলী।
একই ভাবে তিনটি কলেজের কাজ ৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা করে। এসব কাজ পাইয়ে দিতে ঠিকাদারদের নিকট ১৮ লাখ থেকে ২০ লাখ টাকা করে দাবী করছে নির্বাহী প্রকৌশলী শাহিন আহম্মেদ। আর এসব টাকা শিক্ষা প্রকৌশলের উপ-প্রকৌশলী প্রসনজিৎকে দিয়ে আদায় হচ্ছে বলে জানান ভুক্তভোগী ঠিকাদাররা। এ নিয়ে চাপা ক্ষোভ ঠিকাদারদের মধ্যে।
অভিযোগের বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করে জানতে চাইলে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর