সিরাজগঞ্জে রাস্তাজুড়ে ঝুলন্ত মৃত্যুদূত! ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা

সিরাজগঞ্জে ইলেক্ট্রিক পোল ব্যবহার করে যত্রতত্র ইন্টারনেট সংযোগ লাইন স্থাপন করায় প্রায়ই সর্টসার্কিট হয়ে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটছে।
বিটিআরসি,পিজিসিএল ও ইন্টারনেট কোম্পানীগুলোর উদাসিনতার কারণে বার বার এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে বলে দাবি করেছেন বিশিষ্টজনেরা।

এতে যে কোন সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন তারা। তাদের ধরণা-ইন্টারনেট কোম্পানীগুলো ইলেক্ট্রিক তাঁরের সাথে ইন্টারনেট ক্যাবল বেঁধে ঝুলিয়ে রাখা,ম্যাসেঞ্জার ক্যাবলে ষ্টিল জিআই তাঁর ব্যবহার এবং লুজ কানেকশনের কারণে সামান্য বাতাসেই উভয় তাঁরের স্পর্শে প্রায়ই এমন দুর্ঘটনা ঘটে। এছাড়া, ইলেক্ট্রিক পোলের সংযোগ স্থলে পাখির বাসা তৈরি করায় তাতে পানি জমেও অগ্নিকন্ডের ঘটনা ঘটছে বলেও জানান।

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সুলতান মাহমুদ ও হুমায়ুন কবির নতুনসহ অনেকেই জানান,চলতি মাসের ১২আগষ্ট ঈদুল আযহার রাতে শহরের মুজিব সড়কে অবস্থিত জ্ঞানদায়িনী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের ইলেক্ট্রিক পোলে ইন্টারনেট ক্যাবল থেকে সর্টসার্কিট হয়ে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এমন ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনলেও মেরামতের পর বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া মাত্রই ঘটনাস্থলের ৫০গজ দূরে আবারো একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে।

এর আগে ৪ জুলাই রাত সোয়া ১১টায় একই এলাকায় ইলেক্ট্রিক পোলে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এসব অগ্নিকান্ডের কারণে অনেক স্থানে ইলেক্টিক তাঁরগুলো পুড়ে কোনমতে ঝুলে আছে। এতে শহরবাসী আতঙ্কের মধ্যে বসবাস করছে।
তারা আরো বলেন,ঈদুল আযহার রাতে অগ্নিকান্ডের ঘটনার পর ইন্টারনেট কোম্পানীগুলো মেরামত কাজ সেরে অকেজো তাঁরগুলো যত্রতত্রভাবে রাস্তায় ফেলে রেখে চলে যায়।

যা এক সপ্তাহের অধিক সময় পেরিয়ে গেলেও অপসারণ করা হয়নি। এতে প্রায়ই রিকশা, সাইকেল,মোটর সাইকেল,সিএনজি ও ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা চলাচলের সময় দুর্ঘটনার শিকার হয়। বিশেষ করে রাতে শহরের ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ বাড়ি ফেরার সময় এবং ডায়বেটিস রোগী ও গর্ভবতী মায়েরা এ রাস্তা দিয়ে হাঁটাহাঁটি করতে গিয়ে পায়ে তাঁর পেচিয়ে ছোটখাটো দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।

তারা আরো জানান,শহরের অনেকস্থানে ইন্টারনেটের তাঁর ইলেক্ট্রিক তাঁরের সাথে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। অনেক স্থানে তাঁরগুলো এতো নিচু করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে যে, রাস্তা দিয়ে হাঁটাচলা করার সময় পথচারীদের মাথা স্পর্শ করে। এতে যে কোন সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনা ও প্রাণহানীর আশঙ্কা করছেন। এমতাস্থায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তারা।

এ বিষয়ে বিটিআরসি’র ডিজিএম আব্দুল মালেকের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে
সিরাজগঞ্জ নেসকো’র নির্বাহী প্রকৌশলী শিহাব হুসাইনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোন কথা বলতে পারবেন না বলে জানান।

বার্তাবাজার/এসআর

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর