কলাপাড়ায় কৃষিকাজের স্বার্থে খালের অবৈধ বাঁধ অপসারণ

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় খালের অবৈধ বাঁধ অপসারনের কার্যক্রম শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসন। কৃষিকাজের প্রতিবন্ধকতা দুর করতে সোমবার বিকেল থেকে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনিবুর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) অনুপ দাশ বাঁধ কাটার অভিযান শুরু করেন।

শুরুতেই টুঙ্গিবাড়িয়ার খালের একটি অবৈধ বাঁধ কেটে দেন। এসময় নীলগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাসির মাহমুদ উপস্থিত থেকে এ কাজে সহায়তা করেন। অবৈধ বাঁধ এবং খালে অসংখ্য সুক্ষ্ম ফাঁসের জাল দিয়ে মাছ শিকারের কারণে পানি নিষ্কাশনের কাজ ব্যবহার করতে পারে না কৃষকরা। চরম প্রতিবন্ধকতা বন্ধে কৃষকের স্বার্থে কলাপাড়ার সকল স্লুইসগেটসহ খালের বাঁধ ও জাল অপসারনে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

কৃষিকাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে কলাপাড়ায় শত শত খালে বাঁধ দিয়ে এক শ্রেণির প্রভাবশালীমহল দীর্ঘদিন মাছ শিকার করে আসছে। ফলে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। কৃষিকাজের এই প্রতিবন্ধকতা কাটাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনিবুর রহমান ইতিপূর্বে সকল খালের বাঁধ অপসারনের জন্য সকলকে অনুরোধ করেছেন। সেখানে সময়সীমা দেয়া হয়েছিল ১৫ আগষ্ট। এ সংক্রান্ত মাইকিং করে উপজেলা প্রশাসন। কলাপাড়ায় অন্তত দুই শ’ খাল ও খালের শাখা রয়েছে। যেখানে অবৈধ হাজারো বাঁধ রয়েছে।

কৃষকরা জানান, খালে বাঁধ দেয়ার কারণে এখন বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের পথ পর্যন্ত নেই । শুধু বাঁধ নয় এক ধরনের সুক্ষ ফাঁসের জাল আড়াআড়ি পেতে মাছ শিকার করা হয়। কৃষক সুলতান গাজী, জাকির হোসেন, আবুল কালাম জানান, এটি করা হলে কৃষকের অনেক সুবিধা হবে। সেচ সঙ্কটসহ নৌকায় খাল দিয়ে সবজি সরবরাহে কোন বাধা থাকবেনা। কলাপাড়ার ১২টি ইউনিয়ন ও দুইটি পৌরসভার এমন কোন খাল নেই যেখানে কমবেশি বাঁধ দিয়ে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করা হয়নি। হচ্ছে দখল। তোলা হয়েছে বাড়ি-ঘর কিংবা যে কোন ধরনের স্থাপনা। এমন পদক্ষেপে সাধারণ কৃষকরা খুব খুশি হয়েছে।

বার্তাবাজার/এসআর

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর