নৌবাহিনী সদস্য আকতারের খুটির জোর কোথায় ?

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভোলার দৌলতখাঁন উপজেলায় আছমা ও ইয়াছমিন নামে দুই বোনকে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠেছে এক মোঃ আকতার (২৬) নামে এক নৌবাহিনীর সদস্যর বিরুদ্ধে।

আছমা ও ইয়াছমিন উপজেলার উত্তর জয়নগর ইউনিয়নের মধ্য জয়নগর ৭নং ওয়ার্ডের দিনমজুর আব্দুল মান্নানের মেয়ে। আর অভিযুক্ত নৌবাহিনীর সদস্য মোঃ আকতার একই এলাকার রতন মিয়ার ছেলে।

জানা যায়, বিয়ের ব্যাপারে গত ১২ ই আগষ্ট ঈদুল আযহার দিন বিকেলে আব্দুল মান্নানকে তার বড় ভাই রতনের বাসা থেকে ডেকে নিয়ে নৌ-সদস্য আকতারের বিয়ের ব্যাপারে কথা বলেন। এ সময় হটাৎ কেনো কারন ছাড়াই আকতার এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে আব্দুল মান্নানকে চর থাপ্পর মারে এবং ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়।

এ সময় মান্নানের ডাক চিৎকারে তার দুই মেয়ে আছমা ও ইয়াছমিন ঘর থেকে বের হয়ে বাবাকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। তখন নৌ-সদস্য নৌবাহিনী সদস্য আকতার ও তার সহযোগীরা ইয়াছমিনকে চুল ধরে একাধিকবার মাটিতে আছড়ে ফেলে ও তার বোন আছমাকে এলোপাতারি মারধর করে। এক পর্যায়ে তারা মারাত্মক আহত হয়ে মাটিতে লুটাতে পড়ে। আশেপাশের লোকজন তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

নির্যাতনের শিকার দুই বোন। -বার্তা বাজার।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় থেকে আকতারকে প্রধান আসামী করে ফারুক, জামাল, রতন ও ছকিনাসহ ৫ জনকে সহযোগী করে বিরুদ্ধে ভোলা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন নির্যাতিতদের পরিবার।

মামলা দায়েরের পর থেকে ভুক্তভোগী অসহায় পরিবারের উপরে একের পর এক জীবন নাশের হুমকি চালিয়ে যান নৌবাহিনী সদস্য আকতার ও সহযোগীরা ।তাদের দাবী তাদের অপকর্মের বিচার করার মত লোক ভোলাতে নাই।

স্থানীয়রা জানায়, পারিবারিক শত্রুতার জের ধরেই আকতারের নৌবাহিনীতে চাকুরী হওয়ার পর থেকে আব্দুল মন্নানের উপর একের পর এক নির্যাতন চালিয়ে যায়।

আব্দুল মান্নান সাংবাদিকদদের জানান, কিছুদিন আগে ছোট বাচ্চাদের ক্ষুদ্র বিষয় নিয়ে আকতার ও তার বাবা রতন আমার ঘরে ডুকে আমার স্ত্রীকে মারধর করে। এভাবে অসংখ্যবার আমার উপর নির্যাতন চালায়। আকতার কর্তৃক নির্যাতিত হয়ে গত- ১৭/০৮/২০১৯ইং আমার আহত দুই মেয়ে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে বাড়িতে আসার পর আসামি ফারুক, জামাল, রতন সহ মামলা প্রত্যাহারের জন্য আমাদের পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি চালিয়ে যান।

অন্যদিকে আকতার ছুটি শেষে কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার পর মুঠো ফোনে আমার মেয়ে আছমার জামাইকে একাধিক ফোন দিয়ে হুমকি দেন এবং ফোন না ধরার পরে মোবাইলে ম্যাসেজ পাঠান, মামলা যদি না উঠাই সে সরকারি পোষাক পড়ে এলাকায় এসে তার পরিবারকে জীবনের তরে শেষ করে দিবে।

আজ ১৮ আগষ্ট সকালে মামলার জন্য বিদেশ যেতে না পারলে পরিনতি আরও ভয়াবহ হবে ফোনে হুমকি দেয় মামলার ২নম্বর আসামী প্রবাসী মনু কাজীর ছেলে মোঃ ফারুক (৩৫)।

তিনি আরও বলেন, আমার শালা আকতার নৌবাহিনীতে কর্মরত তার ক্ষমতার শেষ নাই। নৌসদস্য আকতার ও তার আত্মীয়স্বজনদের ক্ষমতার দাপটে এই পরিবারটি ভয়ে আতংকে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মিলন জানান, তিনি বিষয়টি জানেন এবং শালিশি বিচারের ব্যবস্থা করবেন।

স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী লোকের ক্ষমতা নিয়ে একত্রিত হয়ে, অসহায় পরিবারটির উপরে দিনের পর দিন চরম জুলুম নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে।

এই ব্যাপারে নৌবাহিনী সদস্য আকতারের সাথে যোগাযোগ করলে, তিনি ঘটনার বিষয়টি এড়িয়ে যান।

পরে জানা যায়, আ: মান্নানের পরিবার মামলা করার পুর্বেই উক্ত বিষয়ে আকতারও একটি মামলা দায়ের করেন।

বার্তাবাজার/এসআর

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর