চাঁদপুরে স্কুল শিক্ষিকা জয়ন্তি হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা আনিছ ও জামাল নামে দুই ডিসের (ক্যাবল নেটওয়ার্ক) কর্মচারীকে আটকের পর রহস্য উন্মোচন করা সম্ভব হয়েছে। আটক ডিসের কর্মচারী হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত রয়েছে বলে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে বলে পিবিআই প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
রোববার (১৮ আগস্ট) বিকেল তিনটায় চাঁদপুর ওয়ারলেস বাজার এলাকার পিবিআই কার্যালয় এসপি মোঃ ইকবাল প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তিনি জানান, হত্যাকাণ্ডের পূর্ব মুহূর্ত থেকে শেষ পর্যন্ত ঐ বাড়িতে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কারা অবস্থান করেছে তা চিহ্নিত করা হয়। সেখানে ডিসের কর্মচারী আনিছুর রহমান ও জামাল হোসেন ঘটনার সময় ওই বাড়িতে অবস্থান করছিল বলে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
পরবর্তীতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তাদের দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা দুজনে চাঁদপুর ক্যাবল নেটওয়ার্কের স্বত্বাধিকারী মালিক রমজানের স্টাফ হয়ে ডিস লাইনম্যান হিসেবে বাসা বাড়িতে সংযোগ দেওয়ার কাজ করত।
পিবিআই এসপি মোঃ ইকবাল জানান, সারাদেশে যখন পদ্মা সেতু নিয়ে গলাকাটা গুজব ছড়িয়েছে ঠিক তখনই চাঁদপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্টাফ কোয়ার্টারে গলা কেটে শিক্ষিকা জয়ন্তীকে হত্যা করা হয়েছে। আধুনিক টেকনোলজি ব্যবহার করে মূল হোতাদের আটক করা ও ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়েছে।
আটক ডিসের স্টাফ আনিছ ও জামাল ঘটনার দিন দুপুরে কোয়ার্টারে গিয়ে শিক্ষিকা জয়ন্তীকে একা পেয়ে তাকে ধর্ষণ করে। তিনি চিৎকার দিলে ঘাতকরা বাসায় টেবিলে রাখা ফল কাটার ছুরি নিয়ে শিক্ষিকা জয়ন্তীর গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই রবিবার বিকালে পুলিশ চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্টাফ কোয়ার্টার থেকে ষোলঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা জয়ন্তী চক্রবর্তীর গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে।
বার্তাবাজার/এসআর