গরুর মাংস নিষিদ্ধ করল লন্ডনের বিশ্ববিদ্যালয়

২০৫০ সাল নাগাদ লাখ লাখ মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার হবেন সরাসরি, জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে পানি, মাটি ও ফসলের ওপর। উপকূলীয় মানুষ হারাবেন বাসস্থান, বাড়বে পানীয় জলের সংকটও। তাই সারা বিশ্ব এক সঙ্গে কাজ করছে জলবায়ু সংকট মোকাবেলায়। এরই অংশ হিসেবে গরুর মাংস দিয়ে তৈরি সব ধরনের পণ্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে লন্ডনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত গোল্ডস্মিথস বিশ্ববিদ্যালয় গরুর মাংসের পণ্যগুলোকে নিষিদ্ধ করেছে। গরুর মাংসের বার্গার, বুরিটোস এবং গরুর মাংস দিয়ে তৈরি অন্যান্য খাবারগুলো শিক্ষার্থীদের খাবারের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় সহায়তা করার জন্য এ ঘোষণা করে।

গোল্ডস্মিথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ওয়ার্ডেন ফ্রান্সেস কর্নার সম্প্রতি দায়িত্ব নিয়েছেন। তিনি এসেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। কারণ প্রতিষ্ঠানটি ২০২৫ সালের মধ্যে কার্বন নিরপেক্ষ হওয়া লক্ষ্য ঠিক করেছে। সিদ্ধান্তটি কার্যকর করা হবে আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকেই। বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিটি ক্যান্টিন, ক্যাফে এবং খাবারের দোকান থেকে গরুর মাংসের তৈরি খাবার সারিয়ে নেওয়া হবে।

এছাড়াও এ বিশ্ববিদ্যালয়টিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের প্লাস্টিকের তৈরি পণ্য ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করেতে নানা উদ্দ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বোতলজাত পানি এবং প্লাস্টিকের মধ্যে বাজারজাত করা পণ্য কেনার ওপর ১০ সেন্ট (১০০ সেন্টে ১ ডলার) চাঁদা আরোপ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের দেওয়া ওই চাঁদা জমা হবে ‘গ্রিন স্টুডেন্ট ইনশিয়েটিভ ফান্ড’ নামের একটি তহবিলে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়ার্ডেন ফ্রান্সেস কর্নার এক বিবৃতিতে জানান, আমি সত্যিকার অর্থে বিশ্বাস করি যে, বিশ্বব্যাপী আমরা নির্ধারিত একটি ইতিহাসের মুখোমুখি হয়েছি। তাই গোল্ডস্মিথস অন্যান্য সংস্থাগুলোর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়িয়েছে কার্বন নিঃসরণের মাত্রা কমাতে।

ফ্রান্সেস কর্নার জানান, যদিও আমি মাত্র এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছেছি, তবে এটা স্পষ্ট যে আমাদের কর্মীরা এবং শিক্ষার্থীরা পরিবেশের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা করে। সেই সঙ্গে পরিবেশের যত্ন করে। জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় দ্রুত এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কার্বন নিঃসরণের মাত্রা কমাতে হবে। আমাদের শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে মনোযোগী হয়ে কাজ করবে।

বার্তাবাজার/কে.জে.পি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর