পুঁজি হারানোর শঙ্কা মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীরা

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় গত বছরের লোকসানের অভিজ্ঞতায় এবার ব্যবসা থেকে সরে এসেছেন অনেক মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীরা। যারা এবার ব্যবসায় নেমেছেন, তারাও গরুর চামড়া কিনছেন ২০০ থেকে ৫০০ টাকা দামে। তবুও চোখেমুখে পুঁজি হারানোর শঙ্কা।

হঠাৎ করে চামড়া ব্যবসা থেকে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের সটকে পড়ার কারণ জানা গেল অন্যান্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে। তারা জানান, গত বছরের মতো এই বছরও লোকসানের ঝুঁকি নিতে রাজি নয় অনেকেই। তাই মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী প্রায় অর্ধেকই এ বছর মাঠে নেই।

পৌরসভার এলাকার চামড়া ব্যবসায়ী শাহজাহান বলেন, ‘ট্যানারি মালিকরা প্রতি বছর একই কাহিনি করে। সরকার যে দাম ঠিক করছে, তারা সে দামও দেয় না। তাই মৌসুমি ব্যবসায়ীরা লস খায়। এই বার লসের ভয়ে অনেকেই ব্যবসায় নামে নাই। এবার সর্বনিম্ন ২০০ এবং সর্বোচ্চ ৫০০ টাকায় কিনেছেন একেকটি গরুর চামড়া এবং ২০ থেকে ১০০ টাকায় কিনেছেন খাসির চামরা।

বিগত বছরের লোকসানের কথা মনে করে এবারো লোকসানের ভয়ে রয়েছেন এই ব্যবসায়ী। গোলাপ নামের এক ব্যবসায়ী জানান, চামড়ার আকারের ওপর ভিত্তি করে সর্বনিম্ন ২০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা দরে চামড়া কিনেছেন। এবার বিক্রির বেলায় পাইকারদের দেখা পাচ্ছেন না।পাড়া-মহল্লা থেকে সংগ্রহ করা চামড়া বাজারে বিক্রি নিয়ে যাই কিন্তু এ বছর বিকাল পেরিয়ে গেলেও কোনো মৌসুমি ব্যবসায়ীর দেখা না পেয়ে এখন নিজেরাই লবন দিয়ে চামড়া সংরক্ষণ করতেছেন।

বার্তাবাজার/কেএ

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর