ভারতের দেওয়া ঈদের মিষ্টি ফিরিয়ে দিল পাকিস্তান

কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের দেওয়া ঈদের মিষ্টি ফিরিয়ে দিল পাকিস্তান৷ প্রথা মেনেই আটারি-ওয়াঘ সিমান্তে সোমবার ঈদের উপহার হিসেবে মিষ্টি নিয়ে হাজির ছিলেন ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের জওয়ানরা৷ কিন্তু বিএসএফ জওয়ানদের দেওয়া মিষ্টি ফিরিয়ে দেয় পাকিস্তানি রেঞ্জার্স৷

কাশ্মীরের উপর থেকে আর্টিকল ৩৭০ তুলে নেওয়ার পর থেকে দুদেশের মধ্যে ট্রেন্ট ও বাস চলাচলও বন্ধ করে দেয় ইমরান খানের সরকার৷ বন্ধ করে দেওয়া হয় দুদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক৷ শুধু তাই নয়, কাশ্মীর ইস্যুতে মোদী সরকারের বিরোধীতা করে ইসলামাবাদে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ফেরত পাঠিয়ে দেয় পাকিস্তান৷ দিল্লি থেকেও পাক রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফিরিয়ে নেয় ইমরান খানের সরকার৷

এদিন ঈদ উৎসবেও দুই প্রতিবেশী দেশের সম্প্রতিতেও বাধা হয়ে দাঁড়ায় পাকিস্তান৷ আটারি-ওয়াঘা সীমান্তে নিযুক্ত এক সিনিয়র বিএসএফ অফিসার জানান, ‘সোমবার পাকিস্তান রেঞ্জার্সের সঙ্গে আমাদের কোনও মিষ্টি দেওয়া নেওয়া হয়নি৷’ সম্প্রতি কাশ্মীর ইস্যুতে দুদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এমনটা সম্ভব হয়নি বলেও জানান তিনি৷ তবে ভারতের তরফে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল বলেও জানান বিএসএফ-এর ওই কর্মকর্তা৷ তিনি বলেন, ‘রবিবারই আমার ঈদের মিষ্টি দেওয়ার প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম৷ কিন্তু পাক রেঞ্জার্সের তা নিতে অস্বীকার করে৷’

প্রথা মেনেই ঈদে বিএসএফ-এর তরফে পাকিস্তান রেঞ্জার্সকে মিষ্টি দিয়ে সম্প্রতির বার্তা দেওয়া হয়৷ এবারও প্রস্তুত ছিল বিএসএফ৷ কিন্তু পাকিস্তানের তরফে কোনও সাড়া মেলেনি বলে জানান বিএসএফ-এর অমৃতসর সেক্টরের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল জেএস ওবেরয়৷

শুধু ঈদ নয়, দুই দেশের জাতীয় উৎসব যেমন দেওয়ালি, ঈদ, স্বাধীনতা দিবস এবং প্রজাতান্ত্রিক দিবসেও আটারি-ওয়াঘা সীমান্তে দেশের মধ্যে সম্প্রতির বার্তা হিসেবে মিষ্টি ও উপহার দেওয়ার রীতি রয়েছে৷ কিন্তু গত সোমবার মোদী সরকার জম্মু-কাশ্মীর থেকে আর্টিকল ৩৭০ তুলে নেওয়ার প্রতিবাদে ভারতের সঙ্গে সব সম্পর্ক বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয় ইমরান খানের সরকার৷

ঈদের পর ১৪ ও ১৫ অগস্ট যথাক্রমে পাকিস্তান ও ভারতের স্বাধীনতা দিবসে সম্প্রতির বার্তা থেকে দূরে থাকতে চলেছে দুই দেশ৷ তবে এটাই প্রথমবার নয়, সীমান্তে সিজ ফায়ার চালানোর প্রতিবাদে গত বছর প্রজাতন্ত্র দিবসেও পাক রেঞ্জার্সের সঙ্গে মিষ্টির আদানপ্রদান করেনি বিএসএফ৷ তার আগে ২০১৬ ভারতীয় সেনা পাকিস্তান অধ্যুষিত কাশ্মীরে আতঙ্কবাদ ধ্বংসের জন্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালানোর পর দিওয়ালিতেও মিষ্টি আদান-প্রদান বন্ধ করে৷

বার্তাবাজার/কে.জে.পি