হৃদয় বিদারক বর্ণনা বেঁচে ফেরা আরিফের!

রাজধানীর বনানীর এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে ভবনের ভেতরে আটকে পড়াদের ছোট ছোট দলে বের করে আনা হচ্ছে। বিকেল তিনটা থেকে আটকে পড়াদের উদ্ধার করা শুরু হয় বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকর্মীরা।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪ জন মারা গেছেন বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে একজন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ও তিন জন ইউনাইটেড হাসপাতালের চিকিৎকরা মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া আহত হয়েছেন অনেকে। বিকেল ৪টা পর্যন্ত হেলিকপ্টার দিয়ে ভবনে ছাদ থেকে তিনজনসহ ওই ভবন থেকে ২৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।

ভবনের তের তলা থেকে বেরিয়ে আসার পর ফুটপাতে বসে মোবাইল ফোনে এসব কথা বলছিলেন আরিফ নামে এক ব্যক্তি। তিনি তের তলার ডার্ড গ্রুপের ম্যানেজার অডিট হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

আরিফ বলেন, আগুন লাগার সময় আমাদের অফিসে ৭-৮ জন ছিলাম। আমরা পাঁচবার সিঁড়ি দিয়ে নামার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্ত ধোঁয়া আর আগুনের তাপের কারণে নামা যাচ্ছিল না। চারদিকে অন্ধকার ছিল। আমরা আবার দৌড়ে অফিসের ভেতরে ঢুকে যাই।

আরিফ বলেন, বাচার আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। অফিসের গামছা আর তোয়ালে ভিজিয়ে মুখের ওপর ধরে রেখেছি সবাই। আর কিছুক্ষণ থাকলে হয়তো বাঁচতাম না।

আরিফ বলেন, একপর্যায়ে গ্লাস ভেঙে হাতের ইশারা করতে থাকলে ফায়ার সার্ভিসের ক্রেন জানালার কাছে যায়। তারপর ক্রেন দিয়ে প্রথমে আমি আর ইকবাল নেমে আসি। অন্যরা পরে নামতে পেরেছে কিনা তা বলতে পারছি না।

এ সময় উপস্থিত হন আরিফের স্ত্রী স্বপ্না। তারা দু’জনে একে-অপরকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে থাকেন। সেখানে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। পরিবার ও সহকর্মীরা পরে তাকে নিয়ে চলে যান।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর