ঘুমন্ত অবস্থায় ঝলসে দেওয়া হয় রঙ মিস্ত্রীর শরীর

সস্ত্রীকে ঘুম অবস্থায় এক রং মিস্ত্রী এসিড দগ্ধ হয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাত একটার দিকে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার কানাইদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় খুলনা ৫০০ শয্যা মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালের এসিড বার্ণ ইউনিট ভর্তি করা হয়েছে।

এসিডদগ্ধের নাম আল আমিন গাজী (৩২)। তিনি তালা উপজেলার কানাইদিয়া গ্রামের সাত্তার গাজীর ছেলে। রহুল আমিন গাজী জানান, তার ভাই আল আমিন গাজী রঙ মিস্ত্রী হিসাবে দীর্ঘদিন ঢাকায় কাজ করে। ভাবী হাফসা ওরফে আশা বেগম তিন বছর সৌদি আরব থাকার পর গত বছরের ডিসেম্বর মাসে দেশে ফিরে একমাত্র ছেলে মুজাহিদকে নিয়ে স্বামীর সঙ্গে থাকে।

ঈদ উপলক্ষে তারা গত বুধবার গ্রামের বাড়ি বেড়াতে আসে। শনিবার রাত নয়টার দিকে খাওয়া শেষে ভাই ও ভাবী একসঙ্গে ঘুমাতে যায়। মুজাহিদ পাশের ঘরে চাচা আকলাজের সঙ্গে ঘুমাতে যায়। শনিবার দিবাগত রাত একটার দিকে চিৎকার করতে করতে দরজা খুলে ঘর থেকে বেরিয়ে আসে আল আমিন।

চিৎকার শুনে চাচা আলকাজ ও জাহাঙ্গীর তাকে এসিডদগ্ধ অবস্থায় দেখে গায়ে পানি ঢেলে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়। পরে তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে খুলনা ৫০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। সে অনুযায়ি রবিবার ভোরে তাকে খুলনা ৫০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

চারিদিকে দরজা জানালা বন্ধ থাকলেও কিভাবে এসিডে আল আমিনের শরীর লাগলো এবং ভাবীর গায়ে লাগলো না এটা নিয়ে তার মনের মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে। তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ ও উপ-পরিদর্শক প্রীতিশ রায় ঘটনাস্থলে পরিদর্শণ করেছে।

তালা থানার উপ-পরিদর্শক প্রীতিশ রায় বার্তা বাজারকে জানান, আল আমিনের মুখমণ্ডল, পিঠে ও বুকে এসিডে ঝলস গেছে। তিনি খুলনা ৫০০ শয্যা হাসপাতালে যেয়ে আল আমিনের জবানবন্দি রেকর্ড করেছে। শরীর ছাড়া আল আমিনের ব্যবহৃত কোন পোশাকে দাহ্য পদার্থ লাগেনি। তার স্ত্রী সঙ্গে থাকলেও তাকে সন্দেহের আওতায় রাখা হয়েছে। রবিবার বিকাল ৬টা পর্যন্ত এ নিয় থানায় কোন লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।

বার্তা বাজার/কেএ

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর