সেপটিক ট্যাংকের মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে এলো মাথার খুলি ও হাড়গোড়!

সিরাজগঞ্জে এক সময়ের মাদক সম্রাজ্ঞী আড়ানীর পুরাতন বাড়ি ভেঙে বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য মাটি খোঁড়ার পর নিচ থেকে বেরিয়ে এসেছে মানুষের মাথার খুলিসহ হাড়গোড়। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন,বহু বছর আগে হয়তো এখানে কবরস্থান ছিল,আবার কেউ কেউ বলছেন,হয়তো কাউকে মেরে এখানে মাটিচাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল।

বুধবার পৌর শহরের মাহমুদপুর মহল্লায় বিল্ডিংয়ের জন্য মাটি খুঁড়তে গেলে মানুষের মাথার খুলিসহ এ হাড়গোড় পাওয়া যায়।

পৌর শহরের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা হলেও পুলিশ বলছে, বিষয়টি তাদের জানা নেই। অন্যদিকে স্থানীয়রা বলছেন, বাড়ির মালিক মাদক সম্রাজ্ঞী আড়ানী বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তড়িঘড়ি করে পুলিশকে না জানিয়ে মসজিদের হুজুরকে দিয়ে কবরস্থানে মাটিচাপা দেয়া হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,মাহমুদপুর মহল্লার মৃত বিশা সেখের স্ত্রী আড়ানী ওরফে রহিমা খাতুন দীর্ঘদিন ধরে মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত ছিল। সম্প্রতি মাদকবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে তিনি মাদক কারবার ছেড়ে দিয়ে সুপথে ফিরে আসেন। গত কয়েকদিন যাবত নিজের পুরাতন বাড়ি ভেঙে বিশাল আকৃতির বহুতল ভবনের নির্মাণকাজ শুরু করেন তিনি।

বুধবার সন্ধ্যার আগে বিল্ডিংয়ের সেপটিক ট্যাংকের জন্য শ্রমিকেরা মাটি খুঁড়লে সেখানে মানুষের মাথার খুলিসহ হাড়গোড় বেরিয়ে আসে। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তের মধ্যে লোকজন জমা হতে থাকে ঘটনাস্থলে।

ঘটনাস্থলে আসা অনেকই বলেন,দীর্ঘদিন আগে হয়তো এখানে পুরানো কবর ছিল। আবার কেউ বলছেন,হয়তো কাউকে হত্যার পর মাটিচাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল এখানে। বাড়ির মালিক এক সময় অনেক প্রভাবশালী ছিল। এ সময় এলাকাবাসী অবিলম্বে বাড়ির নির্মাণ কাজ বন্ধপূর্বক হাড়গোড় পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

স্থানীয় মসজিদের হুজুর শহিদুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যার পর শ্রমিকেরা একটি বস্তায় হাড়গোড় নিয়ে আসে। আমি ভালোভাবে না দেখলেও বস্তায় মানুষের মাথার খুলিসহ হাড়গোড় ছিল। পরে তাদের অনুরোধে কবরস্থানে গিয়ে হাড়গোড়গুলো মাটিচাপা দিয়ে রাখা হয়েছে।

এ দিকে বাড়ির মালিক আড়ানী ওরফে রহিমা খাতুনের মেয়ে রত্মা খাতুন জানান, আমরা শুনেছি এখানে কবর ছিল। তাই বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের জন্য মাটি খোঁড়ার সময় হাড়গোড় বেরিয়েছে। তবে সরজমিনে গিয়ে বাড়ির মালিক আড়ানীকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে জানতে তার মুঠোফোনে কল দেওয়া হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ দাউদ জানান,বিষয়টি তাদের জানা নেই।

বার্তাবাজার/এসআর

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর