চাল কম দেওয়ায় আ.লীগ নেতাকে চড়-থাপ্পড়!

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলায় ভিজিএফের চাল বিতরণে অনিয়ম ও কম দেওয়ায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল সাত্তার হাওলাদারকে প্রকাশ্যে চড়-থাপ্পড় মেরেছেন স্থানীয়রা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার সুবিদখালী গোডাউনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, ২ নম্বর মির্জাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. মনিরুল ইসলাম লিটন সিকদার তার বরাদ্দ থেকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা সাত্তারকে ১৫০টি নাম দেন। তালিকার প্রত্যেককে ১৫ কেজি করে চাল দেওয়া কথা ছিল। কিন্তু তিনি জনপ্রতি ১১ থেকে ১২ কেজি করে চাল দেন।

আজ সকাল থেকে মির্জাগঞ্জ সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে ভিজিএফের চাল বিতরণের কার্যক্রম শুরু হয়। ইউনিয়নের মোট ১ হাজার ৪৪৪ জনকে চাল দেওয়া হয়। বেলা ১১টার দিকে চাল গোডাউন থেকে নামানোর সময় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল সাত্তার হাওলাদার প্রতি চারজনকে ৫০ কেজি ওজনের এক বস্তা করে চাল নিতে বলেন।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উপস্থিত লোকজন ওই নেতা ও তার লোকজনকে চড়-থাপ্পড় দিয়ে লাঞ্ছিত করেন। সুবিধাভোগীরা এ বিষয়ে অভিযোগ করলেও ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. মনিরুল ইসলাম লিটন সিকদার ভিজিএফের চাল কম দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সঠিকভাবে চাল বিতরণ করেছি।

গুদাম থেকে আনার সময়ে চালে কিছুটা ঘাটতি হয়। চাল বিতরণের সময় ওই আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে সুবিধাভোগীদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়। এতে ঘটনাটি ঘটে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ইউপি সদস্য বলেন, চেয়ারম্যান নামের তালিকা দিলেও ঠিকমতো ভিজিএফের চাল বিতরণ করেননি ওই নেতা। গত বছর ঈদেও তিনি নানা অনিয়ম করেন। এবারও একই কাজ করলে সুবিধাভোগীরা তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।

এ বিষয়ে আবদুল সাত্তার হাওলাদার বলেন, ‘চাল বিতরণ নিয়ে কিছু হয়নি। দলের কিছু লোকজন চাল আগে নেবে বলে ঠেলাঠেলি করেছিলেন।’ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সরোয়ার হোসেন বলেন, ‘ভিজিএফের চাল ওজনে কম দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এ রকম হওয়ার কথা নয়। তবে যেহেতু হয়েছে, ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বার্তা বাজার/কেএ

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর