১৩ বছরের মীমের বিয়ে ঠিক করলেন বাবা, ভাঙলেন মা

১৩ বছর বয়সী স্কুলছাত্রী মীমের বিয়ে! সে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার একটি স্কুলের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী।ছোট্ট মিমের জন্য যাকে জামাই হিসেবে বাছাই করেছেন বাবা তার বয়স ৩৩ বছর।আর পরের অংশ শুনলে চোখ কপালে বসবে।মেয়ের জন্য বাবার পছন্দের ছেলে স্কুলশিক্ষক!

স্কুল শিক্ষকের নাম দেলোয়ার হোসেন।

কিন্তু ছাত্রীর বাবার ইচ্ছায় আয়োজিত বিয়েতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন মা। জোরপূর্বক মেয়ের বাল্যবিবাহ বন্ধে গতকাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেছেন ছাত্রীর মা রুমা বেগম।

অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ১৩ বছর বয়সী স্কুলছাত্রী মীমের বিয়ে বন্ধ করেছেন ইউএনও মুহাম্মদ কামরুল ইসলাম। ১৩ বছরের স্কুলছাত্রীকে বিয়ে করতে চাওয়া ৩৩ বছর বয়সী দেলোয়ার হোসেন ঘাটাইল উপজেলার দেওপাড়া গণ উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক।

জানা গেছে, ঘাটাইল উপজেলার মাইধারচালা গ্রামের মজনু মণ্ডলের মেয়ে মারুফা আফরিন মীম। এ বছর মাইধারচালা গণ উচ্চ বিদ্যালয়ের জেএসসি পরীক্ষার্থী সে। মীমের অমতে জোর করে তার বাবা স্কুলশিক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করেন।

বার্তাবাজার/এএস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর