বিএনপির কার্যালয় এখন মুরগীর খাবারের দোকান!

দিন কয়েক আগে চুয়াডাঙ্গার জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সাইনবোর্ডটি রাতের আধারে উধাও হয়ে যায়। এরপর দীর্ঘদিন কার্যালয়টি বন্ধ ছিলো। গত তিন চারদিন আগে জেলা বিএনপির সেই অফিসেই স্থানীয় এক দোকানদার ভূসিমালসহ মুরগীর খাবারের দোকান দিয়েছেন।

হঠাৎ করেই বিএনপির কার্যালয়টি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিএনপির সাধারণ নেতা কর্মিদের মধ্যেও দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। বুধবার শহরের নতুন বাজারে সেই বিএনপির অফিসে গেলে দলের কোন কর্মীকে পাওয়া যায়নি। জেলা বিএনপির অফিসের আশপাশের ব্যবসায়ীরা বলছে সাবেক আহ্বায়ক অহিদুল ইসলামকে দল থেকে বহিস্কারের পর তাকে আর অফিসে দেখা যায়নি। হঠাৎ করে কেন অফিসটি উধাও হয়ে গেল এ বিষয়ে কোন সঠিক উত্তর দিতে পারেনি জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতারাও।

এমনকি জেলা বিএনপির অফিস কেন এখন মুরগীর খাবারের দোকান এ বিষয়ে সুষ্পষ্ট কোন কথাও বলেননি সাবেক আহ্বায়ক অহিদুল ইসলাম বিশ্বাসের কাছের ঘনিষ্ট নেতারাও। এই অফিসে বসেই বিএনপির সকল কার্যক্রম চালাতো জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক।

তবে বিএনপির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, চলতি বছরের ২ এপ্রিল কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মোতাবেক অহিদুলকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বিএনপির সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে বাবু খানকে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ঘোষণা করা হয়। কেন্দ্র থেকে এমন ঘোষণা দেবার পরপরই বিএনপি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন অহিদুল ইসলাম। তিনি ঘোষণা দেন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে তিনি আর জড়িত থাকবেন না। ওইদিনই সন্ধ্যায় বন্ধ করে দেয়া হয় বিএনপির কার্যালয়টি।

অহিদুল বিশ্বাসের অনুসারীরা বলছে দল থেকে অব্যাহতি দেবার পরই অভিমান আর কষ্টে অফিস ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। তবে মনে প্রাণে এখনও তিনি বিএিনপির রাজনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল।

এদিকে বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা বিএনপির রাজনীতির চিত্র শুধুমাত্র গ্রুপিং। অবিভাবকহীন আর গ্রুপিং এর কারণে দলীয় সব অনুষ্ঠান করা হয় ভিন্ন ভিন্ন ভাবে। দীর্ঘদিন ধরে দলীয় কোন্দলের কারণে জেলা বিএনপির কার্যক্রম হয়ে পড়েছে অনেকটা দুর্বল।

এ ব্যাপারে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘অহিদুল ইসলাম বিশ্বাসকে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক জেলা বিএনপির আহ্বায়ক থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এমনকি তার নূন্যতম বিএনপির সদস্য পদও এখন নেই। সুতরাং তিনি বিএনপির কোন কর্মিও নন।’

বিএনপির অফিসের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে দলের এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ‘বর্তমানে চুয়াডাঙ্গায় বিএনপির কোন কোন্দল নেই। আর আহিদুল ইসলাম যে অফিসে বসে বিএনপির কার্যক্রম চালাতো সেটি জেলা বিএনপির কোন অফিস নয়। সেটি ছিল তার নিজস্ব অফিস।’

অন্যদিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান খান বাবু বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি এখন পর্যন্ত জানেন না অহিদুল ইসলামের সাধারণ সদস্য পদ আছে কি নেই। তবে অহিদুলকে গত ২ এপ্রিল আহ্বায়ক পদ থেকে অব্যাহতি দেয়ার কথা তিনি স্বীকার করেন।

বার্তাবাজার/কে.জে.পি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর