৬০ বছরে রক্ত দিয়েছেন ২৪ লাখ শিশুকে !

রক্ত দিয়ে অনেকেই মানুষকে সহায়তা করেন। অনেকই এক বার বা দু’বার রক্ত দিয়ে আর দেন না। কিন্তু গত ৬০ বছর ধরে প্রায় প্রতি সপ্তাহে রক্ত দিয়ে চলেছেন জেমস হ্যারিসন। তার দেওয়া রক্তের জন্যই জীবন বেঁচেছে ২৪ লাখেরও বেশি অস্ট্রেলিয় শিশু।

এ কাজ করে তিনি এখন সবার কাছে পরিচিত ‘ম্যান উইথ দ্য গোল্ডেন আর্ম’ নামে। হ্যারিসন নামের ওই ব্যক্তির রক্ত আর সাধরণ কয়েক জনের মতো নয়। বিশেষ কিছু অ্যান্টিবডির উপস্থিতিই তার রক্তকে করেছে বিশেষ।

তার রক্তে থাকা রোগ প্রতিরোধকারী অ্যান্টিবডি দিয়ে তৈরি হয় ‘অ্যান্টি-ডি’ নামের এক ধরনের ইনজেকশন। যা রিসাস রোগের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয়।

জানা যায়, রিসাস রোগ এমন একটি অবস্থা যার কারণে গর্ভবতী নারীর রক্তে থাকা অ্যান্টিবডি শিশু শরীরের রক্ত কণিকাকে ধ্বংস করে। যার কারণে শিশুর মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতে পারে। সেই রোগ আটকানোর ইনজেকশন তৈরিতেই বিশেষ ভূমিকা নিচ্ছে হ্যারিসনের রক্ত।

অস্ট্রেলিয়ার রেডক্রস ব্লাড সার্ভিসের জেমা ফ্যালকেনমায়ার বলেন, জেমসের রক্ত অনন্য। তার রক্ত থেকে তৈরি হয় জীবনদায়ী ওষুধ। সেই ওষুধ ইনজেকশন হিসাবে দেওয়া হয় সেই সব গর্ভবতীদের যাদের রক্ত থেকে শিশুদের ক্ষতির আশঙ্কা থাকে।

৬০ বছর ধরে প্রতি সপ্তাহে তিনি কী করে রক্ত দিয়েছেন? এই প্রশ্ন সবার মনেই আসতে পারে। চিকিৎসকরা জেমসের রক্ত থেকে প্লাজমা বের করে নিতেন।

তার পর লাল রক্ত কণিকা ফিরিয়ে দেওয়া হত তার শরীরে। এই পদ্ধতি ব্যবহারের জন্যই এত দিন ধরে বিপন্ন শিশুদের জীবন বাঁচানোর জন্য নিজের রক্ত দিতে পেরেছেন জেমস।

সূত্র: আনন্দবাজার।

বার্তা বাজার/কেএ

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর