তিতাসে জমজমাট হয়ে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট

ঈদের বাকী আর মাত্র ৫ দিন।গরুর চাহিদা বেশি থাকায় জমে উঠতে শুরু করেছে তিতাসের পশুর হাটগুলো। এবার হাটগুলোতে ভারতীয় গরুর দেখা মিলছে কম। এ অজুহাতে দেশী গরু চড়া দামে বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা।এতে পছন্দের গরু কিনতে হিমশিম খচ্ছে ক্রেতারা।

হটের নিরাপত্তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার দাবী জানিয়েছেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা।তবে ভারতীয় গরু না আসলেও ঈদে গরুর কোন সংকট হবে না। প্রতি বছর কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে গরু আনা হয় তবে এবার চিত্র কিছুটা ভিন্ন। ভারতীয় গরু আনা বন্ধ থাকায় প্রভাব পরেছে দেশীয় গরুর খামারের দিকে। খামারিরা এবার স্থানীয়ভাবে গরু পালন করেছে অনেক বেশি।

এতে গরুর হাটগুলোতে দেখা গেছে দেশীয় গরুর সরবরাহ গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। আর বাজারে ভারতীয় গরুর আনাগোন কম থাকায় চাহিদা বেড়েছে দেশী গরুর। বিক্রেতারা বলছেন, দেশী গরু এজন্য দামাটা একটু বেশি তবে দাম বেশি হওয়ায় সন্তুষ্ট নন ক্রেতারা। স্থানীয় খামারী আওলাদ হোসেন বলেন, এবার হাটগুলোতে দেশী গরুর দাম পাচ্ছে খামারিরা।কথা হয় বাতাকান্দি বাজারে গরু বিক্রি করতে আসা ফরিদপুরের আনিছ মিয়ার সাথে । তিনিি জানান, আজকের বাজারে চাহিদার তুলনায় দেশী গরুর আমদানী কম থাকায় গরুর দাম ভাল পাওয়া গেছে।

ক্রেতাদের অভিযোগ ভারতীয় গরু আমদানী কম থাকায় দেশী গরুর দাম বেশি হাঁকছেন ব্যবসায়ীরা।ছোট গরু এবছর ৬০থেকে ৭০ হাজার টাকা,মাঝারি গরু ৮০ থেকে ১লাখ,বড় গরু দেড় লাখ থেকে আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা জানান,এ উপজেলায় কোরবানির জন্য যতেষ্ট পরিমান পশু রয়েছে কোন সংকট হবে না বলে তিনি আশাবাদি ।

তিতাস থানা অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মোহাম্মদ আহসানুল ইসলাম জানান, কোরবানির হাট উপলক্ষে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত পরিমানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।পুলিশের টহল দল নিয়োজিত আছেন হাটগুলোতে।জাল টাকার লেনদেনে সতর্ক রয়েছে পুলিশ সদস্যরা। এছাড়াও তিনি আরো বলেন ট্রাকযোগে গরু নিয়ে যাওয়ার সময় পথে পথে হয়রানী ও চাঁদাবাজী যেন কেউ না করতে পারে সে দিকে আমাদের লক্ষ থাকবে।

এ বছর ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ১৪টি অস্থায়ী ও একটি স্থায়ী কোরবানির পশুর হাট বসেছে। উল্লেখযোগ্য হাটগুলো হচ্ছে, উপজেলা সদর কড়িকান্দি,আসমানিয়া বাজার,মাছিমপুর বাজার,হাজী মোহাম্মদ আলী মার্কেট,সৎমেহেরে বিবির বাজার,দুলারামপুর পীর সাঈদী মার্কেট,জগতপুর বাজার। তবে শেষ মূহর্তে বাজার স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এমনটাই প্রত্যাশা ক্রেতা ও বিক্রেতা,ইজারাদার সবার। তবে বাতাকান্দি বাজার স্থায়ী পশুর হাট হওয়ার পরও ঈদ-ঊল আযহা উপলক্ষে কোরবানির উদ্দেশ্যে অনেকেই গরু ক্রয় করতে দেখা গেছে।

বার্তাবাজার/এসআর

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর