লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে সৈয়দ আহম্মদ (৩২) নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। তার পরিবারের দাবি, নির্মাণাধীন মসজিদের টাকা উত্তোলন নিয়ে দিনে সৈয়দকে প্রকাশ্যে হুমকি ও রাতে হাতুড়ি-ইট দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় বুধবার (৭ জুলাই) সকালে নিহতের মা রিনা বেগম বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন। এর আগে মঙ্গলবার (৬ জুলাই) রাতে পৌরসভার শিবপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আবদুল মালেক নামে ওক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত সৈয়দ একই এলাকার মৃত শামছুল হকের ছেলে। নিহতের পরিবার জানায়, পৌরসভার শিবপুর এলাকার নতুন একটি মসজিদ নির্মাণের কাজ চলছে। এলাকাবাসী সৈয়দকে মসজিদ নির্মাণের টাকা উত্তোলনের দায়িত্ব দেয়। সৈয়দও দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
কয়েক দিন ধরে স্থানীয় আবদুল মালেকের ছেলে জাহেদ ও খালেক টাকা উত্তোলনে বাধা দেয়। কিন্তু বাধা না মানায় মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সকালে জাহেদ ও খালেকের সঙ্গে সৈয়দের কথাকাটাকাটি হয়।
এর জের ধরে ওই দিন রাতে বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে মসজিদের সামনেই সৈয়দকে হাতুড়ি ও ইট দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়।
নিহতের মা ও মামলার বাদী রিনা বেগম বলেন, সকালে আমার ছেলেকে আসামিরা প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছে। রাতে তারা পরিকল্পিতমতো নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমি আসামিদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসি চাই।
থানা পুলিশ জানায়, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। হত্যার ঘটনায় আবদুল মালেক, তাঁর ছেলে জাহেদ, খালেক ও প্রতিবেশী মো. বাহারকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।
এ ব্যাপারে রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তোতা মিয়া জানান, নিহত ব্যক্তির মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। তবে ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।
বার্তা বাজার/কেএ