সুখী সম্পর্ক চান? আপস করবেন না যে বিষয়গুলোতে !

সম্পর্ক সব সময় সরল গতিতে চলে না। এই পথে চলতে গিয়ে অনেককিছু পাড়ি দিতে হয়। কখনো খাঁদের কিনার ঘেষে দাঁড়ায়, কখনো তা ভাঙনে গড়ায়। আবার কখনো অনেক বন্ধুর পথ পেরিয়েও সম্পর্ক টিকে থাকে। একটি সম্পর্কে কোনো সমস্যা দেখা দিলে বন্ধুজনেরা পরামর্শ দেন- মানিয়ে নাও।

কিন্তু এটাও জানা জরুরি, কোন বিষয়গুলোতে আপস করা সম্ভব আর কোনগুলোতে নয়। জেনে নিন এমন কিছু বিষয় সম্পর্কে, যেসব ক্ষেত্রে কখনোই আপস করা সম্ভব নয়-

দায়বদ্ধতা: সম্পর্কের একদম শুরুতেই পরস্পরের কাছ থেকে দায়বদ্ধতা বা প্রতিশ্রুতিবদ্ধতার আশা করা বাড়াবাড়ি। কিন্তু সেই সদিচ্ছাটা থাকা জরুরি, যাতে অন্তত এটুকু বোঝা যায় যে আপনারা জীবনের বাকি পথটা একসঙ্গে হাঁটার জন্য চেষ্টা করতে রাজি।

সততা: সম্পর্কের ভিত্তিই হলো সততা। যেকোনো সম্পর্কেই সততার গুরুত্ব অন্য সবকিছুর থেকে বেশি। সততা আর পারস্পরিক বিশ্বাসই সম্পর্ককে সতেজ রাখতে সাহায্য করে।

স্পষ্টতা: একজন একটা স্থায়ী সম্পর্ক চান, অপরজন শারীরিক ঘনিষ্ঠতা ছাড়া কিছুই দিতে রাজি নন- এমনটা হলে কিন্তু ভবিষ্যতে সমস্যা এড়ানো যাবে না। সম্পর্কটা কোনদিকে গড়াতে চলেছে, তা প্রথম থেকেই দু’জনের কাছে স্পষ্ট থাকা দরকার।

স্নেহ-ভালোবাসা: ভালোবাসা শুধু শারীরিকই নয়, মানসিকও। যেকোনো সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে গেলে দুটিরই ভূমিকা অনস্বীকার্য। হাতে হাত রাখা, ছোট্ট মেসেজ, এ সবই কিন্তু ভীষণ জরুরি।

নিজেকে প্রকাশ করা: সব সময় কথা বলার মুড না-ও থাকতে পারে। আর কাজ শেষে বাড়ি ফিরে তো আরও বেশি ক্লান্ত লাগে। তবু নিজেকে সঙ্গীর কাছ থেকে একেবারে গুটিয়ে রাখবেন না। আপনার অসুবিধার জায়গাটা অন্তত তাকে বুঝতে দিন।

সহমর্মিতা: সহমর্মিতা আর সংবেদনশীলতা, এই দুটি বিষয়ই সুস্থ সম্পর্কের ক্ষেত্রে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। যেসব দম্পতি পরস্পরের প্রতি সহমর্মী, তাদের দাম্পত্যজীবন অনেক সুখের হয়।

সম্মানবোধ: পরস্পরের চিন্তাভাবনা, আদর্শ, বিশ্বাসের ব্যাপারে শ্রদ্ধাশীল হওয়া দরকার। পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সম্মানবোধ না থাকলে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়।

অগ্রাধিকার: আমাদের সবার জীবনেই কিছু না কিছু প্রায়োরিটি থাকে যা আমরা অন্য সব কিছুর থেকে এগিয়ে রাখি। আপনাদের সম্পর্কটা দু’জনের কাছেই যদি সেই রকম প্রায়োরিটির বিষয় না হয়, তা হলে মুশকিল!

খোলা মন: একটা সম্পর্ক নানান চড়াই-উতরাইয়ের মধ্যে দিয়ে এগোয়। সব পরিস্থিতি সব সময় সমান যায় না। যে কোনও পরিস্থিতি, ঘটনা খোলা মনে নিতে শেখা জরুরি। তাতে সম্পর্ক টাটকা থাকবে, অনেক নতুন অভিজ্ঞতাও অর্জন করতে পারবেন!

আস্থা: সঙ্গীর প্রতি আস্থা রাখতেই হবে। তার কাজকর্ম, আচরণের প্রতি বিশ্বাস রাখুন। মাঝেমধ্যে ঝগড়াঝাটি হতে পারে, হিংসে হতে পারে, কিন্তু মনে রাখবেন এটাই যেন নিয়মে পরিণত না হয়। সুখী সম্পর্কের জন্য সঙ্গীর উপর আস্থা রাখুন।

বার্তা বাজার/কেএ

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর